ইরান-ভেনেজুয়েলার ২০ বছরের চুক্তি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ২০ বছরের সহযোগিতা চুক্তিতে সই করেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার তেহরানে সফররত নিকোলাস মাদুরো ও কট্টরপন্থী ইরানি প্রেসিডেন্ট রাইসি চুক্তিতে সই করেন।
জ্বালানি, সামরিক, অর্থনৈতিক, পেট্রোকেমিক্যাল ও শিল্প স্থাপনবিষয়ক সহযোগিতা প্রাধান্য পেয়েছে চুক্তিতে।
দুই দেশের ওপরই যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রয়েছে। এমন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভেনেজুয়েলার কঠিনতম সময়ে জ্বালানি তেল পাঠানোর ইরানের প্রশংসা করেন মাদুরো।
মাদুরো বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার নামে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের নিপীড়িনমূলক ব্যবস্থার শিকার এই দুই দেশ। আন্তর্জাতিক এমন নিপীড়ন রোধে এবার ইরান ও ভেনেজুয়েলা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আন্তর্জাতিক ইস্যুতে দুই দেশের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন।’
মাদুরো আরও বলেন, ‘চুক্তির মাধ্যমে দমনমূলক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে রুখে দিতে কারাকাস ও তেহরান প্রতিরোধমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।’
তিনি বলেন, ‘সামনের মাসে তেহরান ও কারাকাসের মধ্যে সরাসরি উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হবে।’
মাদুরোর প্রশংসা করে ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা ও হুমকির বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিচ্ছেন।’
এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘দুই দেশের এমন সাফল্যজনক চুক্তি ইঙ্গিত দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বলয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ।’
মাদুরোকে ধন্যবাদ জানিয়ে খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এক অন্যরকমের ভেনেজুয়েলা দেখছে আজ।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামিটে প্রতিবেশী ভেনেজুয়েলাকে আমন্ত্রণ জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। গুরুত্বপূর্ণ এই সামিটে আমন্ত্রণ পায়নি কিউবা ও নিকারাগুয়াও। একনায়কতন্ত্র ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অজুহাতে এই দেশগুলোর প্রতিনিধিদের এই সম্মেলনে যোগ দিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় হোয়াইট হাউস। এরপরই ইউরোশিয়া সফর শুরু করেন মাদুরো। চলতি সপ্তাহে আলজেরিয়া ও তুর্কিয়েতে সফর করবেন মাদুরো।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৩ জুন, ২০২২)