দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সকাল থেকেই সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করবে। এদিকে, প্রায় মাসখানেক আগে পদ্মা সেতুর টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বছরে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে, খরচ হয়েছে সবমিলিয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এই টাকাটা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। চুক্তি অনুযায়ী, যানবাহনের টোল থেকে ৩৫ বছরে সুদসহ ফেরত দিতে হবে ৩৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতু থেকে মাসে টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বছরের হিসেবে অংকটা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এসব অর্থের সিংহভাগ দিয়ে সরকারের ঋণ পরিশোধ করা হবে, বাকি কিছু অর্থ খরচ হবে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে।

গত ১৭ মে পদ্মা সেতুর টোলের ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বড় বাসের ক্ষেত্রে টোল হবে ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা। কার ও জিপ পারাপারে টোল হবে ৭৫০ টাকা, পিকআপে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসে ১ হাজার ৩০০ টাকা।

৩১ আসন বা তার কমের ছোট বাস পারাপারে টোল গুনতে হবে এক হাজার ৪০০ টাকা। ৩২ আসন বা এর বেশি অর্থাৎ মাঝারি বাসের ক্ষেত্রে ২ হাজার টাকা এবং বড় বাস (থ্রি এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা। পাঁচ টন ক্ষমতাসম্পন্ন ছোট ট্রাক পারাপারে টোল হবে ১ হাজার ৬০০ টাকা। পাঁচ টন থেকে সর্বোচ্চ আট টন ক্ষমতাসম্পন্ন মাঝারি ট্রাকের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৮০০ টাকা।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বড় ট্রাককে (থ্রি এক্সেল) পদ্মা সেতু পার হতে হলে গুনতে হবে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। আর যদি ফোর এক্সেলের অধিক কোনো ট্রাক হয় তাহলে ৬ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য এক হাজার ৫০০ টাকা যুক্ত হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৩ জুন, ২০২২)