দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শতভাগ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান আছিয়া সি ফুড। ১৯৯৭ সাল থেকে মিঠা পানির ও সামুদ্রিক বিভিন্ন ধরনের মাছ প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করছে। প্রধান পণ্য হিসেবে সামুদ্রিক মাছ এবং সাদা পানির হিমায়িত চিংড়ি মাছ রপ্তানি করে।

যুক্তরাজ্য, সাইপ্রাস, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে বলে আছিয়া সি ফুড কোম্পানির প্রোসপেক্টাসে উল্লেখ করা হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০২০-২১) রপ্তানি আয় করেছে ১৩৭ কোটি টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে আসতে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের সাম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির কিউআই আবেদন আগামী ১৯ জুন শুরু হয়ে চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত।

কোম্পানিটি কিউআইও-এর মাধ্যমে শেয়ারপ্রতি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে ১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে তুলে নেবে। এসএমই প্ল্যাটফর্মে অনুমোদন পাওয়া আছিয়া ফুড উত্তোলিত টাকায় নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন, ব্যাংক ঋণের একাংশ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করবে প্রতিষ্ঠানটি।

গত অর্থবছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৮৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য ছিল ১৭ টাকা ০৭ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানটি এইচএসিসিপি, বিআরসি এবং আইএসও সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএস ফুড অ্যাসোসিয়েশন অনুমোদিত পেয়েছে।

তবে শর্ত রয়েছে, এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর ইস্যুয়ার কোম্পানিটি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না।

ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

(দ্য রিপোর্ট/ মা হা/ ১৩ জুন,২০২২)