দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।

বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো ভোটগ্রহণ। তবে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তবে কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিত বেশি। নির্বাচন চলাকালে কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

সারাদেশের দৃষ্টি এখন কুসিক নির্বাচনের দিকে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখতে চাচ্ছে না কমিশন। যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে ৬৪০টি বুথে ভোট হচ্ছে ইভিএমে। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুইজন।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু'জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দেশে প্রথমবারের মত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুসিকের ১০৫টি ভোটকেন্দ্র ৮৫০টি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৫ জুন, ২০২২)