দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে সিলেটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পানি উঠে পড়েছে নগরীর ২০টিরও বেশি পাড়া-মহল্লায়। এ ছাড়া জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে গত এপ্রিলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে অসময়ে বন্যা দেখা দেয়। এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়।

জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট নগরীর উপশহর, তেরো রতন, সাদারপাড়, মেহেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, কালিঘাট, সোবহানীঘাট, যতরপুর, তালতলা, কাজির বাজার, ঘাসিটুলা, কদমতলীসহ অন্তত ২০টি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। একই সঙ্গে সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।

এসব জায়গায় হাটবাজার, দোকানপাট, বাড়িঘরে পানি উঠেছে। কর্মক্ষেত্র ও রাস্তাঘাট আবারও তলিয়ে যাওয়ায় বেড়েছে বেকারত্ব ও দুর্ভোগ।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জেলার সুরমা, কুশিয়ারা ও সারিনদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৪ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ও জৈন্তাপুরের সারিঘাটে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।

সিলেটের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাইদ আহমদ চৌধুরী আরটিভি নিউজকে জানান, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত কম-বেশি অব্যাহত থাকবে। এর পরে ১৯ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত দিনের বেলা বৃষ্টি কমে এলেও রাতের বেলা অব্যাহত থাকবে। তবে উজানের ঢল অব্যাহত থাকলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, পানিবন্দি মানুষের জন্য ৪৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের সহায়তায় বুধবার (১৫ জুন) ২৯৮ টন চালও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৬ জুন, ২০২২)