দক্ষ ব্যবস্থাপনায় জনতা এখন দেশের সেরা ব্যাংক!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিজিএমই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জনতা ব্যাংক বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহফুজুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বনামখ্যাত ব্যাংকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদ এর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে ব্যাংক লুটেরাদের সকল প্রকার হুমকী ধমকী উপেক্ষা করে নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে শীর্ষে অবস্থান নিয়েছে জনতা ব্যাংক । আমদানী , রপ্তানী, ফরেন রেমিটেন্স , এসএমই প্রকল্প , কৃষি ঋণ বিতরনসহ ব্যাংকিং খাতের প্রায় সকল মাপকাঠিতে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে জনতা ব্যাংক।
আগের প্রায় সব সংকট অতিক্রম করে জনতা ব্যাংকের সব সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী।২০২১ সালের ব্যাংকের অনুমোদিত চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী জনতা ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার নিট মুনাফায় এ রেকর্ড গড়ল। এ ছাড়া ব্যাংকের অপারেটিং প্রফিট (পরিচালন মুনাফা) এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
২০১২ সালের পর অপারেটিং প্রফিটে আবার ব্যাংকটি এ অবস্থান ফিরে পেয়েছে। ব্যাংকের লোকসানি শাখা ৫১ থেকে কমে এখন ৩৯টিতে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে ব্যাংকটির ইপিএস যেখানে ছিল শতকরা ০.৬২ ভাগ, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৯৮ ভাগ। শ্রেণিকৃত ঋণ হ্রাসে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। গত বছরের চেয়ে শ্রেণিকৃত ঋণ শতকরা ৫.০৮ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যাংকটির মোট শ্রেণিকৃত ঋণ ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ব্যাংকটির মোট আমানত বেড়ে এখন এক লাখ দুই হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া অ্যাডভান্স, রপ্তানি, স্প্রেড এবং ইল্ড অব অ্যাডভান্স (ঋণ থেকে আয়) বৃদ্ধি এবং কস্ট অব ফান্ড হ্রাস পেয়েছে। ব্যাংকের অন্যান্য সূচকেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।
প্রায় ১৭ হাজার জনবল কাঠামোর বিপরীতে মাত্র ১২ হাজার লোকবল নিয়ে বিদেশে ৪টি আর দেশে ৯১৫ টি শাখা সহ মোট ৯১৯টি শাখা ( পল্লী শাখা ৪৯০টি) নিয়ে জনতা ব্যাংকের বিশাল কার্যক্রম চলছে। শীর্ষ প্রশাসনের নির্দেশে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কঠোর পরিশ্রম করে বিগত বৎসরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা আমদানী এরং ২০ হাজার কোট টাকার রপ্তানী বাণিজ্য করেছে। এ বৎসর জনতা ব্যাংক রেমিটেন্স সংগ্রহ করেছে প্রায় ৮ হাজার টাকা ।
জনতা ব্যাংক নিয়ে চলছে সিরিজ অপপ্রচার। শিল্পপতি নামের কতিপয় ব্যাংক লুটেরার বিনিয়োগে চলছে এ অপপ্রচার । যেন সকল দোষ বর্তমান প্রশাসনের! উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে । অথচ জনতা ব্যাংক লুটের মহানায়করা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে! দুর্নীতিবাজ ব্যাংকারদের কেউ কেউ এখন শিল্পপতি নামের লুটেরাদের কর্মচারীও বটে।
অ্যাননটেক্স গ্রুপ
জনতা ভবন শাখার গ্রাহক অ্যাননটেক্স গ্রুপের জন্ম প্রায় ১৩ বৎসর আগে ২০০৯-২০১০ সালে। তখন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন লুটপাটের মহানায়ক খ্যাত ডঃ আবুল বরকত, এমডি- এস এম আমিনুর রহমান, হেড অব ক্রডিট ডিএমডি গোলাম সারোয়ার, শিল্প ঋণের জিএম ছিলেন দাউদ শিকদার এবং ভবনের ডিজিএম ছিলেন আমিনুর রহমান পিনু। যদি কোন অনয়িম হয়ে থাকে তাহলে এরাই দায়ী হওয়ার কথা। অথচ বেশির ভাগেই অপপ্রচার করা হচ্ছে তৎকালিন কামাল আতাতুর্ক শাখার ডিজিএম ও বর্তমান এমডি আব্দুছ ছালাম আজাদকে নিয়ে।
জনতা ব্যাংকে অ্যাননটেক্স গ্রপের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ঋণের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ খেলাপি।
ইতিমধ্যেই জনতা ব্যাংক ঋণের একটি বড় অংশ প্রায় ২০০০ আদায় করেছে এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের চাপে নিয়মিত টাকা পরিশোধ করছে। অ্যাননট্রেক্স গ্রপেকে জড়িয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপক অপপ্রচার চলছে বর্তমান প্রশাসনের নামে । অথচ বর্তমান প্রশাসন শুধূমাত্র তাদের পুর্ব প্রশাসনের করে যাওয়া অনিয়ম থেকে জনতা ব্যাংককে রক্ষা করতে দিন রাত পরিশ্রম করছেন এবং অ্যাননটেক্স গ্রুপ থেকে টাকা আদায়ের সকল কৃতিত্ব এমডি আব্দুছ ছালাম আজাদ এর।
ইমামগঞ্জ শাখার গ্রাহক ক্রিসেন্ট গ্রুপ কেলেংকারী
ইমামগঞ্জ শাখার গ্রাহক ক্রিসেন্ট গ্রুপের জনতা ব্যাংকে উত্থান কলিন চেয়ারম্যান ছিলেন ড. আবুল বরকত, এমডি- এস এম আমিনুর রহমান, হেড অব ক্রডিট ডিএমডি গোলাম সারোয়ার পরবর্তীতে ডিএমডি ওমর ফারুক (পরবর্তীতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি ছিলেন) শিল্প ঋণের জিএম ছিলেন দাউদ শিকদার, ঢাকা দক্ষিণের জিএম ছিলেন সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি জাকির হোসেন এবং শাখা প্রধান তথা ডিজিএম ছিলেন ইকবাল, আসাদ, রেজাউল এবং ফখরুল আলম। পরিচালক বলরাম পোদ্দার, নাসির উদ্দিন, পরবর্তী এমডি আব্দুস সালাম এফসিএ এবং চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহিদুজ্জামানসহ জড়িতরা কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন ক্রিসেন্ট গ্রুপের কাছ থেকে। দিয়েছেন নজির বিহীন অনৈতিক সুবিধা। তারা সবাই মিলে ক্রিসেন্ট গ্রুপের নামে বেনামের প্রতিষ্ঠানকে ৫০০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন যা আগামী ৫০ বৎসরেও আদায় হবেনা। রপ্তানী না করেই বানোয়াট কাগজ তৈরি করে সরকারের কাছ থেকে নগদ সহায়তা উঠিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা। এত বড় জালিয়াত দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে নজির বিহীন। অথচ অপপ্রচার চলছে বর্তমান প্রশাসনের নামে।
লোকাল অফিস শাখার ঢাকা ট্রেডিং
লোকাল অফিস শাখা থেকে ঢাকা ট্রেডিং নামের প্রতিষ্ঠান মাত্র ৪ কোটি টাকার জামানত দিয়ে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্য আমদানী করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে খুলনার কুখ্যাত এরশাদ সিকদারের সেকেন্ড ইন কামন্ড টিপু। তখন চেয়ারম্যান ছিলেন ড. আবুল বরকত, এমডি- এস এম আমিনুর রহমান, হেড অব ক্রডিট ডিএমডি গোলাম সারোয়ার ও ওমর ফারুক, লুটেরা টিপুর অন্যতম নেপথ্য পার্টনার জনতা ব্যাংক ডিএমডি জিল্লুর (পরবর্তীতে বিডিবিএল এর ডিএমডি), শিল্প ঋনের জিএম ছিলেন দাউদ শিকদার ও শাখা প্রধান তথা জিএম ছিলেন নুরুজ্জমান ও পরবর্তীতে জিএম আমিনুল ইসলাম পিনু , ডিজিএম মঞ্জুরুল ইসলাম, শামীম। দুদকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা মামলা করেছে পিও মশিউর রহমান সহ কিছু চা পোষা কেরানীর নামে।
লোকাল অফিস শাখা থেকে রপ্তানী বিলের পিসি
লোকাল অফিস শাখা থেকে রপ্তানী বিলের পিসি (প্যাকিং ক্রেডিট) বাবত বিভিন্ন দুর্নীতিবাজ ট্যানারী মালিকরা প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সীমান্ত লেদার, এক্সিম লেদার লিঃ, সিলভার ট্রেড, আল মদিনা ট্যেনারী, টোটাল ফ্যাশন, টেক্স নিট লিঃ। এরা রপ্তানী বিলের নামে বিদেশে টাকা পাচার করছে বলে ব্যাংকাররা দাবি করছেন। তারা পিসির নামে স্বল্প মেয়াদী ঋণ নিয়ে এটাকে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণে পরিণত করেছেন এবং এখন খেলাপী। এর মধ্যে একজন ব্যাংকের টাকা মেরে চীনে ২য় বিয়ে করে সেখানে ঐ চায়নিজ বউকে গাড়ী বাড়ীও করে দিয়েছেন এবং এখন প্রায় চীনে বসবাস করেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন কাঁচা সবজী রপ্তানিকারক রয়েছেন যারা পিসির নামে স্বল্প মেয়াদী ঋণ নিয়ে এটাকে দীর্ঘ মেয়াদী ঋণে পরিণত করেছেন। এ সব রপ্তানী বিলের সঠিক তথ্য বা প্রয়োজনিয় কাগজপত্র পর্যন্ত নেই ব্যাংকের কাছে। এটাকা আদায়ের কোন অবস্থানে নইে জনতা ব্যাংক।
কামাল আতাতুর্ক শাখার গ্রাহকঃ
কামাল আতাতুর্ক শাখার গ্রাহক এলাইন গার্মেন্টস এর মালিক রাজিব ভুয়া রপ্তানী বিল পার্চেজ করেন। কতিপয় ব্যাংকারকে টাকা দিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্বসাৎ করে এখন খেলাপী। একই শাখা থেকে একই কায়দায় সিংকী গার্মেন্টস এর মালিক একরাম নিয়েছেন শত কোটি টাকা। এ শাখার লুটপাটের সময় এমডি আব্দুস সালাম এফসিএ এবং চেয়ারম্যান শেখ ওয়াহিদুজ্জামানসহ জড়িতরা কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন গ্রাহকের কাছ থেকে। দিয়েছেন নজির বিহীন অনৈতিক সুবিধা!
বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহফুজুর রহমান এর সুষ্ঠ পরিকল্পনায় জনতা ব্যাংকের অগ্রযাত্রার মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের ব্রান্ড ব্যাংকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছালাম আযাদ।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ অগ্রযাত্রার যোগ্য সারথী হিসেবে ব্যাংকটিকে তিনি নিয়ে এসেছেন সম্মুখ সারিতে। জনতা ব্যাংক দেশের অর্থনীতিতে বিশাল অবদানের মাধ্যমে আলো ছড়াচ্ছে দেশব্যাপী।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৬ জুন, ২০২২)