দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মুখোমুখি সিলেটবাসী। সবমিলিয়ে জেলার ৮০ শতাংশ জায়গা পুরোপুরি তলিয়ে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এরইমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলেও বন্যার তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। রবি ও সোমবারের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলায়ও বন্যা শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এছাড়া পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে একই সময়ে দেশের মধ্যাঞ্চলের চারটি জেলায় বন্যা শুরু হতে পারে। দেশের তিন এলাকার ওই বন্যা আরো ৭ থেকে ১০ দিন ধরে থাকতে পারে।

দেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দীর্ঘমেয়াদি বন্যার পূর্বাভাসে এমন সব আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।

পূর্বাভাস কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রবিবার ও সোমবারের মধ্যে দেশের উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভারী বর্ষণ আরো বৃদ্ধি হতে পারে। এরইমধ্যে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাতের কারণে উজানের নদ–নদীগুলোর পানি বাড়ছে। নতুন করে বৃষ্টি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। অন্যদিকে পদ্মার মূল নদী গঙ্গার উজানে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তা আরও বাড়তে পারে। ফলে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর ও ফরিদপুরে নিম্নাঞ্চলে বন্যা শুরু হতে পারে।

৭ থেকে ১০ দিন দেশের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ এলাকা বন্যায় ডুবে থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, একই সময়ে দেশের প্রধান দুটি নদী অববাহিকা ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার পানি বাড়ছে। সেই সঙ্গে তিস্তার পানিও এরইমধ্যে বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে সব মিলিয়ে এবার দেশে মাঝারি বন্যা হতে পারে।

বন্যার পূর্বাভাসে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কুড়িগ্রাম দিয়ে বন্যার পানি ঢুকছে। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও পাবনায় বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে। আর তিস্তা অববাহিকার কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও রংপুরে বন্যা শুরুর আশঙ্কা রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৮ জুন, ২০২২)