রাত ৮টার পর দোকান-শপিংমল বন্ধের নির্দেশ স্থগিতের অনুরোধ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি-বিতান, কাঁচা-বাজার খোলা না রাখার নির্দেশনা আগামী ঈদুল আজহা পর্যন্ত স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৮ জুন) বিকেলে এফবিসিসিআইয়ের লোকাল গার্মেন্টস (অভ্যন্তরীণ পোশাক) বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ অনুরোধ জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, কোভিডকালীন গত দুই বছরে ঈদ ও নববর্ষসহ অন্যান্য উৎসবে পুরোমাত্রায় বেচা-কেনা না হওয়ায় লোকসান দিতে হয়েছে। সরকারের ঘোষিত সময়োপযোগী প্রণোদনা প্যাকেজের সহায়তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় রাত ৮টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা ব্যাহত হবে।
ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
তিনি বলেন, উৎসবকেন্দ্রিক কেনাবেচায় মূলত সন্ধ্যার পরই অফিসফেরত ক্রেতাদের সমাগম শুরু হয়। এমন প্রেক্ষাপটে রাত ৮টা পর্যন্ত কেনাবেচা সীমিত করা হলে দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী বিপাকে পড়বেন। একই সঙ্গে ক্রেতা সাধারণকেও ভোগান্তি পোহাতে হবে।
এছাড়া বৈঠকে অভ্যন্তরীণ বাজারের পোশাক উৎপাদকদের জন্য গার্মেন্টস পল্লী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান কমিটির সদস্যরা।
কমিটির সদস্যদের দাবির প্রতি একমত পোষণ করে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি এম এ মোমেন জানান, গার্মেন্টসপল্লীর ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পর, ব্যবসায়ীদের বাড়তি কিছু চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। তার আগেই এ খাতকে আরও শক্তিশালী হওয়ার তাগিদ দেন এম এ মোমেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মালিক। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভরসা ও হাফেজ হারুন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কো-চেয়ারম্যান হাজি এম এইচ মোস্তফা, মো. আবুল খায়ের, মো. সরোয়ার উদ্দিন খান, হাজি মো. টিপু সলতান, মো. কেফায়েতুল্লাহ টুইঙ্কল ও জুনায়েদ ইবনে আলি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকান, বিপণি-বিতান, মার্কেট ও কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ নির্দেশনার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ১৬ জুন সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তবে কবে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে সে বিষয়ে ওই চিঠিতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৮ জুন, ২০২২)