দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বন্যার পানি সরিয়ে সিলেটের কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে।  ফলে সিলেট নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক সচল হয়েছে।  বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলী, সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশনের কর্মীদের সাড়ে ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় শনিবার (১৮ জুন) রাত ৮টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় সিলেট জেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তবে এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সব কটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্ধ করা হয়। এতে দুই জেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেট নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ আংশিক সচল হয়েছে।

এদিকে, শনিবার দিনব্যাপী সিলেট বিভাগের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় রেকর্ড পরিমাণ ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে সিলেট শহর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি আরও বৃদ্ধি পেয়ে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশের উজানে ভারতের মেঘালয়, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভারি বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে উজানের নদ–নদীগুলোর পানি বাড়ছে। নতুন করে বৃষ্টি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। এছাড়া আগামী দুই দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলায়ও বন্যা হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৮ জুন, ২০২২)