দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভাষা ভেদে শব্দ বদলায়। স্থান ভেদে বদলায় উচ্চারণ। তবে বদলায় না রক্তের টান। ইংরেজিতে যিনি ‘ফাদার’, বাংলায় তিনি ‘বাবা’। বাবার প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ প্রতিদিনই ঘটে। তার পরও পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিনকে বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। যেমনটা মায়ের জন্য করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাবা দিবসের প্রচলন।

আজ বছর ঘুরে সেই রোববার, বিশ্ব বাবা দিবস। বিশ্বের ৫২টি দেশে জুন মাসের তৃতীয় রোববার প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়।

সন্তানের কাছে বাবা বন্ধুর মতো। কারও বাবা পথপ্রদর্শক। অনেকেই বাবাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনেক দেশে কার্ডও উপহার দেওয়া হয়। যাদের বাবা বেঁচে নেই, তারা হয়তো আকাশে তাকিয়ে অলক্ষ্যে বাবার স্মৃতি হাতড়ায়।

বাবা দিবসের প্রচলন বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিতৃদিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাবা দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷

সন্তানের মুখ থেকে বাবা শব্দটি যখন বেরিয়ে আসে তখন বাবার দুঃখ-কষ্টগুলো হারিয়ে যায় নিমেষেই। মায়ের অকৃত্রিম আদর, মমতা আর বাবার ভালোবাসার ছায়ায়, মায়ায় সন্তানের যে জীবন, সেই জীবনে শ্রদ্ধাবনত হওয়ার দিন। সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে মধুর ডাক বাবা।

মা সন্তানের জন্য সবকিছুই বিসর্জন দেন। আর বাবা বহু ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানকে ছায়ার মতো আগলে রাখেন। তাই বাবা দিবসে শুধু নয়, প্রতিদিন বাবাকে ভালোবাসতে হবে। শ্রদ্ধা জানাতে হবে তাঁকে। প্রতিদিন হোক বাবা দিবস। সবার ভালোবাসা হোক বাবা-মায়ের জন্য।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৯ জুন, ২০২২)