দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অব্যাহতভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার দেশের আট বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। কোনো অঞ্চলে বেশি, কোনো অঞ্চলে কম। তবে এই সময় সিলেটে সর্বোচ্চ ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা রেকর্ড। এটি এই অঞ্চলের আবহাওয়ার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশে আগামী তিন দিন বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এ সময় টানা বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

এ পরিস্থিতিতে সিলেট অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এর আগে শুক্রবার সিলেট অঞ্চলের ৮০ শতাংশেরও বেশি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে বাকি অংশেও পানি উঠে।

সুনামগঞ্জের অধিকাংশই প্লাবিত হয়ে গেছে। এসব অঞ্চলে বানভাসি মানুষ আশ্রয়ের জন্য নিরাপদ জায়গা খুঁজছে। তাদের উদ্ধার কাজে মাঠে নেমেছ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট অঞ্চলে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এটি ওই অঞ্চলের আবহাওয়ার ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০০০ সালের ১২ জুন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় সিলেটে, যা ছিল ৩৬২ মিলিমিটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ১৯৫৮ সালের ১৯ জুন, যা ছিল ৩৩৬ মিলিমিটার।

তিনি আরও জানান, এ সময় স্বাভাবিক কারণেই বৃষ্টি বেশি হয়। আর এভাবে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আগামী ২১ জুন পর্যন্ত থাকার আভাস রয়েছে। এই সময়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে তুলনামূলক বৃষ্টিপাত বেশি হবে। তবে পরে কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা, অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের প্রায় সব বিভাগে কম-বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় দেশের সিলেট ও চট্টগ্রামে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের আটটি বিভাগেরই অধিকাংশ জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হওয়ার আভাস রয়েছে। একইসঙ্গে কোনো কোনো অঞ্চলে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণও হতে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ১৯ জুন, ২০২২)