দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৩৫ মণ ওজনের বিশালাকৃতির ষাঁড় রঙ বাহাদুর। প্রতিদিনই দূর-দূরান্তের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ এ সুন্দর গড়ন আর শান্ত স্বভাবের ষাঁড়টিকে এক নজর দেখতে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার কৃষক সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে ভিড় করছেন।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কৃষক-ব্যবসায়ী নির্বিশেষে একশ্রেণির লোক ষাঁড় গরু মোটাতাজা করে থাকেন। আর এসব গরু কোরবানির হাটে বিক্রি করে সংসারের অতিরিক্ত আয়ের পথ খোঁজেন।

কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গণমানপুরুরা গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান তাদেরই একজন। তিনি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে রঙ বাহাদুর নামে একটি ষাঁড় গরুকে বড় করছেন। ইতোমধ্যেই এ ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৩৫ মণ। ন্যায্যমূল্য পেলে এবারের কোরবানির হাটে রঙ বাহাদুরকে বিক্রির প্রত্যাশা কৃষক সিদ্দিকুর রহমানের।

জানা গেছে, কোরবানির ঈদের হাটে বিক্রি করার জন্য কৃষক সিদ্দিকুর রহমান চার বছর ধরে নিজ গাভিজাত একটি ষাঁড় গরুকে লালন-পালন করছেন। মোটাতাজা এবং হৃষ্টপুষ্ট করতে কোনোপ্রকার ওষুধের আশ্রয় না নিয়ে আটা ও গমের ভুষি, ঘাস, ছোলা বুট, খেঁসারি ভুষি, বিচিকলা, ঘাস-খড় ইত্যাদি খাইয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে একটি ষাঁড় গরুকে লালন-পালন করে মোটাতাজা করে তুলেছেন। নাম রেখেছেন রঙ বাহাদুর।

সোমবার গণমানপুরুরা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি সরেজমিন দেখা গেছে, রঙ বাহাদুরের ওজন হয়েছে ৩৫ মন। সাড়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য এবং সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার এ বিশালাকৃতির সাদা ডোরাকাটা কালো রঙের রঙ বাহাদুরকে দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্তের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভিড় করছেন কৃষক সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে। বাস্তবে এই সুঠামদেহী ষাঁড়টিকে কেউ কেউ কালা পাহাড় এবং কেউ কেউ হাতির সঙ্গেও তুলনা করছেন।

এ সময় কৃষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই কোরবানির হাটের জন্য প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে ষাঁড় গরু মোটাতাজা করে থাকেন। আর এসব ষাঁড় গরু বিক্রি করে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের খরচ এবং সংসারে অতিরিক্ত খরচ নির্বাহ করে থাকেন। তবে এবার রঙ বাহাদুর নামের ষাঁড়টি তার স্বপ্নের সমান বড় হয়েছে বলে তিনি খুবই খুশি।

তবে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে কৃষক সিদ্দিকুর রহমানের মনে। করোনা অতিমারির ধকল কাটতে না কাটতে এবারের কোরবানির ঈদের হাটের আগে বন্যার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে ষাঁড়ের উপযুক্ত মূল্য নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষক সিদ্দিকুর রহমান। তবু ন্যায্য মূল্যে রঙ বাহাদুরকে বিক্রি করে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আনন্দের ঈদ উদযাপনের প্রত্যাশা তার।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২২জুন, ২০২২)