সময় বলে দেবে, কী করব: আবুল হোসেনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হয় তখন যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। কিন্তু যখন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তখন মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
ফলে শোনা যাচ্ছে এবার আবুল হোসেনকে দলীয় পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সময় বলে দেবে, কী করব।
আজ বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই তার বক্তৃতার একটি বড় অংশে ছিল পদ্মা সেতুর কথা।
সরকারপ্রধান বলেন, নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে পদ্মা সেতু হয়েছে। এ জন্য আমি বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, কারণ তারা আমার পাশে ছিলেন। তাদের সহযোগিতার জন্য আজ পদ্মা সেতু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই হয়। এরপর শুরু হয় ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রের পেছনে কে বা কারা ছিল তা আমি বহুবার বলেছি। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশের মানুষের কেউ ক্ষতি করতে পারে এটা সত্যিই কল্পনার বাইরে ছিল।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২২জুন, ২০২২)