অব্যবহৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড পুঁজিবাজারে ব্যবহার করা সম্ভব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে ফান্ড রয়েছে যা অলস পড়ে রয়েছে। এসব ফান্ড পুঁজিবাজারে ব্যবহার করতে পারলে বাজার অনেক উপকৃত হবে।
বুধবার (২২ জুন) ইনভেস্টমেন্ট ফিজিবিলিটি অফ দি রিজিস্টার্ট রিকগনাইজ প্রভিডেন্ট পেনশন এন্ড গ্যাজুয়েট ফান্ড (আরপিপিজিএফ) ফর আইপিও এর উপর গণশুনানিতে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি বলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ফান্ড রয়েছে। এই বিপুল পরিমান ফান্ড আমরা যদি পুঁজিবাজার ব্যবহার করতে পারি তবে বাজার অনেক উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত ২০ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ডলার রয়েছে। যার ২৫ শতাংশ আমরা পুঁজিবাজারে ব্যবহার করতে পারি। এগুলো ব্যবহার করতে পারলে পুঁজিবাজার অনেক সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি মনে করেন।
কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি সায়ত্য শাসিত প্রতিষ্ঠান সহ সকল সেক্টরে প্রভিডেন্ট ফান্ড সহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা রয়েছে। এই অর্থগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে কোন বাধা নেই বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ৬০টি ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংকের এগুলোর প্রায় ১০ হাজার শাখা রয়েছে। একই সাথে অনেকগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে প্রভিডেন্ট ফান্ড রয়েছে এই অর্থ আমরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারি। এই অর্থগুলোকে যদি আমরা পুঁজিবাজারের নিয়ে আসতে পারি তবে বাজার অনেক উপকৃত হবে বলে তিনি মনে করেন।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যেভাবে কাজ করছি তা অনেকটুকু পূর্ণ হবে যদি প্রভিডেন্ট ফান্ড বাজারে বিনিয়োগের জন্য নিয়ে আসতে পারি।