দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ সরকার প্রধানের জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। এসময় ভারত সফরের জন্য মোদির আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। আগামী সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনার সফর নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা কূটনৈতিক চ্যানেলে কাজ করছেন। সফরকে ফলপ্রসূ করতে প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাত্র দু’দিন আগে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হবে।

আলোচনাকালে শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে অভিন্ন নদীগুলোতে ড্রেজিং পরিচালনার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, নিয়মিত নদীখননের মাধ্যমে একটি জল সংরক্ষণাগার নিশ্চিত করা যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ভারতের আসাম, অরুণাচল ও মেঘালয় রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ভারতীয় দূতকে অবহিত করেন, পূর্ব ভারতের পাহাড়জুড়ে ভারী বর্ষণে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার আশ্বস্ত করেন, ভারতও বাংলাদেশের বন্যার্তদের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বিক্রম কে দোরাইস্বামী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।

এছাড়া তিনি শক্তিশালী নদীর ওপর বহুল আকাঙ্খিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশার উল্লেখ করেন, নবনির্মিত মেগা সেতু উভয় দেশকে সরাসরি সংযুক্ত করবে। এ অঞ্চলে যোগাযোগ বাড়াবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যে একটি ট্রায়াল রান করা হয়েছে। চারটি ভিন্ন সড়কেও এই ধরনের ট্রায়াল রান অনুষ্ঠিত হবে।

বিদ্যুতের বিষয়ে কথা বলার সময় ভারতীয় দূত বলেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য ভারত একটি কোম্পানি গঠন করবে। পাশাপাশি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণে বিনিয়োগ করবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৪জুন, ২০২২)