দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পদ্মা সেতু জাতীয় সম্পদ ও দেশের অহংকার, যারা এমন জাতীয় সম্পদের বিরোধিতা করবে তারা জাতির শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২৭ জুন) এ বিষয়ে এক শুনানির সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ষড়যন্ত্র না থাকলে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করলো কেন, প্রশ্ন হাইকোর্টের।

একই সঙ্গে পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুলের আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদালতের তার পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।’

পদ্মা সেতু নির্মাণের চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির দিন নির্ধারণের সময় এমন মন্তব্য করেন আদালত।

সোমবার (২৭ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকার দ্বিতীয় নম্বরে ছিল।

এর আগে রোববার (২৬ জুন) পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং দোষীদের কেন বিচারের মুখোমুখি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

মন্ত্রিপরিষদ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব এবং দুদকের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ইউনূসের বিচার দাবি : আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদের কথা নজরে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৭ জুন, ২০২২)