দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ, আড়িয়াল খাঁ ব্রিজ ও ধলেশ্বরী ব্রিজে কোনো যানবাহন পারাপারে আলাদা করে টোল নেওয়া হবে না। এক্সপ্রেসওয়ের টোলের সঙ্গে এসব টোল একীভুত হয়ে যাবে।

আজ বুধবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে বিষয়টি হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

মাঈনুল হাসান বলেন, টেন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও টোল আদায় করা হচ্ছিল। কয়েকজন আইনজীবী বিষয়টি জানালে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। এরপর নির্দেশ অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জুলাই থেকে এসব ব্রিজে আলাদা করে আর টোল দিতে হবে না।

এদিকে আগামী ১ জুলাই থেকে টোলের আওতায় আসছে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গার মধ্যে ৫৫ কিলোমিটার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করা বাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯৫ টাকা।

গত সোমবার (২৭ জুন) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে অন্তর্বর্তীকালীন মাঝারি ট্রাকের জন্য সমন্বিতভাবে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হলো। এতে অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। পরবর্তী সময়ে টোল নীতিমালা-২০১৪ অনুসারে যথাসময়ে টোল হার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হবে।

এর ফলে মাঝারি আকারের ট্রাকগুলোকে পদ্মা সেতুর টোল ছাড়াও এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য ভিত্তি টোল হিসেবে প্রতি কিলোমিটারে ১০ টাকা হারে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ের জন্য ৫৫০ টাকা টোল দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন টোল হার অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়ের পুরোটা পাড়ি দিলে বাসের জন্য ৪৯৫ টাকা, মিনিবাসে ২৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপে ২২০ টাকা এবং প্রাইভেট কারে ১৩৮ টাকা টোল দিতে হবে। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রেইলারে ১ হাজার ৩৭৫ টাকা এবং বড় ট্রাকে ১ হাজার ১০০ টাকা টোল দিতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৯ জুন, ২০২২)