কুড়িগ্রামে আবারও বাড়ছে নদ-নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামে গত ১২ ঘণ্টায় ধরলার পানি ৩৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৫ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে উজানে বৃষ্টিপাতের কারণেই এসব নদ-নদীর পানি কিছুটা বাড়ছে বলে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৫ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি ৩৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গত ১৫ দিনে শুধু কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় ৪২টি বাড়ি তিস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে। একই সঙ্গে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক বিলীনের পথে। এ ছাড়া জিও ব্যাগ ফেলেও তিস্তার ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের। অন্যদিকে শুধু তিস্তার ভাঙনে নয়, ধরলা-ব্রহ্মপুত্র-দুধকুমারের করাল গ্রাসে পতিত হচ্ছে আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তার ভাঙন আরও বেড়ে গেছে। গত ১৫ দিনে প্রায় ৪২টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। একটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিকটা একবারে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক নিলামের প্রক্রিয়া চলছে। যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৯ জুন, ২০২২)