১৬ টি নির্দেশনা গরুর হাটের প্রতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : খোলা জায়গায় কোরবানির পশুর হাট বসানো, হাট বসানোর আগে নির্ধারিত স্থান জীবাণুমুক্ত করা, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ পশুর হাটের জন্য ১৬টি নির্দেশনা মেনে চলার বাধ্যবাধকতা দিয়েছে সরকার। ইদুল আজহা উপলক্ষে যেসব পশুর হাট বসবে, সেসব হাট স্থাপন ও পরিচালনায় এসব নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে সবাইকে।
আগামী ১০ জুলাই সারাদেশে উদযাপন করা হবে ইদুল আজহা। এর আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বস শুরু করবে পশুর হাট। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে এসব হাটের জন্যই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
যে ১৬ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে—
১। হাট বসানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে পর্যাপ্ত খোলা জায়গা। কোনোভাবে বদ্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবে না;
২। ইজারাদারের হাট বসানোর আগে মহামারি প্রতিরোধ সামগ্রী যেমন— মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে। পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে তরল সাবান বা সাধারণ সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে;
৩। কোরবানির পশুর হাটের সঙ্গে যুক্ত সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাট কমিটির সবার ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা ও মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে;
৪। হাটের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দিতে হবে। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন— মাস্কের ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, শারীকিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, জীবাণুমুক্ত করা বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয় সবসময় মাইকে প্রচার করতে হবে;
৫। মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা হাটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাট কর্তৃপক্ষ চাইলে মাস্ক বিনামূল্যে সরবরাহ করতে পারেন বা এর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারে;
৬। প্রতিটি হাটে সিটি করপোরেশনের ডিজিটাল পর্দায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করতে হবে;
৭। কোরবানির হাটে প্রবেশের জন্য প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করতে হবে;
৮। পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে বর্জ্য দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না;
৯। প্রতিটি হাটে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের এক বা একাধিক ভ্রাম্যমাণ স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিম গঠন করে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেডিকেল টিমের কাছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা যেতে পারে, যেন প্রয়োজনে হাটে আসা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়;
১০। পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রেখে পশু রাখতে হবে। যাতে ক্রেতারা কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে পারেন;
১১। ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে;
১২। মূল্য পরিশোধের সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর সময় ভিড় করা যাবে না। লাইনে সবাইকে তিন ফুট দূরত্ব রেখে দাঁড়াতে হবে;
১৩। সব পশু একত্রে হাটে প্রবেশ না করিয়ে, হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী পশু প্রবেশ করাতে হবে;
১৪। হাটের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব এমনসংখ্যক ক্রেতাকে হাটে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। বাকি ক্রেতারা হাটের বাইরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। একটি পশু কেনার জন্য দুই জনের বেশি ক্রেতা হাটে প্রবেশ করবেন না;
১৫। অনলাইনে পশু কেনাবেচার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা যেতে পারে; এবং
১৬। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এবার পবিত্র ইদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে চার হাজার ৪০৭টি কোরবানির পশুর হাট বসার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে দুইটি স্থায়ী হাটসহ বসবে ১৬টি পশুর হাট।
(দ্য রিপোর্ট/ মা হা ১ জুলাই,২০২২)