এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ে আরও তিনটি বুথ, কমেছে যানজট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) আরও তিনটি বুথ চালু হওয়ায় টোল আদায়ে ধীরগতি কিছুটা কেটেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাত থেকে চারটি টোল বুথের মাধ্যমে টোল আদায় করা হলে দীর্ঘ চার কিলোমিটার যান সৃষ্টি হয়। এরপর শুক্রবার (১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে আরও তিনটি বাড়িয়ে সাতটি টোল বুথ করা হয়। ফলে টোল আদায়ের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে যানজট।
এ ব্যাপারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোল প্লাজার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু হোসেন জাকারিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন করে তিনটি বুথ চালু করায় যানজট কমেছে। এখন এক কিলোমিটার যানজট আছে। অতি দ্রুত এটিও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (১ জুলাই) বেলা ১১টা পর্যন্ত ভাঙ্গার বগাইল টোল প্লাজা এলাকায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী যানবাহনগুলো চার কিলোমিটারের বেশি ও ভাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো এক কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে যানজটে ছিল। তখন টোল প্লাজা এলাকায় চারটি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছিল। পরে যানবাহনের চাপে দ্রুত আরও তিনটি টোল বুথ খুলে দেওয়া হয়। এতে মোট সাতটি টোল বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। এখানে ১০টি বুথে টোল আদায়ের কথা থাকলেও আরও তিনটি টোল বুথ নির্মাণাধীন থাকায় সেগুলোতে টোল আদায় সম্ভব হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী ৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। পদ্মা সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিয়া এলাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এই মহাসড়ক ব্যবহার করলে একটি বড় বাসকে টোল দিতে হবে ২০০ টাকা, মিনিবাস ১১০ টাকা, মাইক্রোবাস ৯০ টাকা, প্রাইভেটকার ৫৫ টাকা ও মোটরসাইকেল ১০ টাকা। এছাড়া ট্রাকের ক্ষেত্রে ট্রেইলর ট্রাকের (সবচেয়ে বড় ট্রাক) টোল ধরা হয়েছে ৬৭৫ টাকা, ভারী ট্রাক ৪৪০ টাকা এবং মাঝারি আকারের ট্রাক ২২০ টাকা।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০২ জুলাই, ২০২২)