টঙ্গী থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার যানজট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঈদের বাকি আর একদিন। এজন্য শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়কগুলোতে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা পুলিশের সদস্যরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে চন্দ্র এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রী এবং যানবাহনের সংখ্যা সড়কে বেশি থাকায় যানজট নিরসনে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ট্রাফিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এবং চৌরাস্তা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের জন্য ট্রাফিক পুলিশ এবং থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই মহাসড়কে যাত্রী এবং পরিবহনের বেশ চাপ রয়েছে। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য পুলিশ সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এদিকে মহাসড়কের পাশাপাশি ট্রেনে ও লঞ্চেও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শুক্রবার সকাল থেকেই অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ইঞ্জিন এবং ট্রেনের ছাদে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
জয়দেবপুর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীদের ছাদে না উঠতে মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে যাত্রীরা ছাদে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ভ্রমণ করছে।
অপরদিকে একই চিত্র দেখা গেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট ও লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায় যাত্রীদের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে সদরঘাটেও।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৮ জুলাই, ২০২২)