ট্রেনে শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের ভোগান্তি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ট্রেনে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই মানুষের দীর্ঘ সারি। স্টেশনের প্রবেশপথেও যাত্রীদের গাদাগাদি। তবে করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার বালাই চোখে পড়েনি কোথাও। এ বিষয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষও যেন নির্লিপ্ত।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত মঙ্গলবার ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দুই দিন কোনো শিডিউল বিপর্যয় না থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার কিছু ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে। তবে শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে শিডিউল বিপর্যয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঈদযাত্রীদের। অধিকাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের দেড়-দুই ঘণ্টা পর স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন সকালে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ৯টা পযন্ত ছেড়ে যায়নি সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের নীলসাগর এক্সপেস, সকাল ৭টার ধূমকেতু এক্সপেস এবং ৮টা ১৫ মিনিটের সুন্দরবন এক্সপেস।
প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের প্রচুর যাত্রী সকাল থেকে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষা করছেন। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ৯টায়ও তা স্টেশন ছাড়েনি। প্রায় চার ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ১০টার পর ট্রেনটি ছেড়ে যাবে বলে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এ ছাড়া সকালে কর্ণফুলী কমিউটার ও রংপুর এক্সপ্রেসসহ আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। এসব ট্রেন ছেড়ে যেতে বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র।
এদিকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষ। প্ল্যাটফর্মে পরিবার-পরিজন ও মালপত্র নিয়ে ট্রেনের অপেক্ষায় অনেকে।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গত ১ জুলাই থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ১ জুলাই দেওয়া হয় রেলের ৫ জুলাইযের ট্রেনের টিকিট, ২ জুলাই ৬ জুলাইয়ের, ৩ জুলাই ৭ জুলাইয়ের, ৪ জুলাই ৮ জুলাইয়ের এবং ৫ জুলাই দেওয়া হয় ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকিট।
ঈদযাত্রার ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয় বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই)। প্রথম দিন বিক্রি হয় ১১ জুলাইয়ের ফিরতি টিকিট। আজ (৮ জুলাই) দেওয়া হবে ১২ জুলাইয়ের টিকিট। এরপর ৯ জুলাই ১৩ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ১০ জুলাই ঈদ হলে ১১ জুলাই সীমিত পরিসরে কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে। তবে ১২ জুলাই থেকে সব ট্রেন চলাচল করবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ০৮ জুলাই, ২০২২)