আস্থাহীনতায় ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গত কয়েকদিন ধরে টালমাটাল দেশের পুঁজিবাজার। প্রধান সূচক আজকে হারিয়েছে ৮৭ পয়েন্ট। দেশের পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আস্থাহীনতায় ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। দ্য রিপোর্টের এই প্রতিবেদকের কথা হয় বিনিয়োগকারীদের সাথেও। তারা বলেন গণমাধ্যমে প্রকাশিত শেয়ার কারসাজি চক্রের বিষয়ে কিছু সংবাদ প্রকাশ মার্কেটকে প্রভাবিত করেছে।পাশপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির ব্যাপারে নানান গুজব মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে।
এদিকে,ঢাকা স্টক একচেঞ্জের প্রধান সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে ৬২১৬ পয়েন্টে নেমেছে। এছাড়া ডিএসই শরিয়ায় সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে ১৩৫৯ পয়েন্টে নেমেছে ও ডিএসই৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ২২৩৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দেশের সার্বিক শেয়ার বাজারের অবস্থা নিয়ে কথা হয় পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদের সাথে। তিনি বলেন , দেশের সার্বিক অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। এসব ব্যাপার বিনিয়োগকারীরা নার্ভাস। রিজার্ভ কমে যাওয়ার খবর এসেছে গণমাধ্যমে। পাশাপাশি ডলারের বিপড়ীতে টাকার মান কমে গিয়েছে। এসব খবর প্রভাবিত করেছে বাজারকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ প্রতি মাসে নতুন কোম্পানিকে মার্কেটে না এনে ভালো কোম্পানি মার্কেটে আনার দাবি করেন। মার্কেটের এই অবস্থা বেশিদিন চললে শেয়ার মার্কেট তলানিতে চলে যাবে বলে আশংকার কথা বলেন এই বিশেষজ্ঞ। দিনের শেষে জ্বালানী সংকটের কারণে ঘোষনা এসেছে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে লোডশেডিং। সপ্তাহে একদিন পাম্পগুলো বন্ধের। অন্যদিকে, সরকারি বেসরকারি অফিসের সময় কমানোর অথবা হোম অফিসের কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন । অন্যদিকে রাত ৮টার পর দোকানপাট খোলা থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিনের হুমকি দিয়েছেন বিদ্যুত,জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এসব ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিক ভাবে দুর্বল করে দিয়েছেন মনে করেন ঢাবির সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। ।
এদিকে, রাজধানীর মতিঝিলে বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে কথা হয় কয়েকজন বিনিয়োগকারির সাথে। হাসান আহমেদ নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন , শেয়ারবাজারে যতদিন গ্যাম্বলাররা আছেন মার্কেট ফিরে আসবে না। কথা হয় ইসমাইল হোসেন নামে একজন বিনিয়োগকারীর সাথে তিনি বলেন মার্কেট ফিরে আসতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আরো কঠোর হতে হবে। কারসাজি চক্রের ব্যাপারে আরো কঠোর হতে হবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশণকে।
দ্য রিপোর্টের কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরেকজন পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞের সাথে। তিনি বলেন বর্তমানে এক কথায় বিনিয়োগকারীরা আস্থাহীনতার চরমে আছেন। দেশের শীর্ষ এক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় দেশের শীর্ষ এক শেয়ার মার্কেট কারসাজির এক ব্যক্তির নাম। আবুল খায়ের হিরো নামের সরকারি এই কর্মকর্তার নামে এর আগেও একাধিক অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। তবুও নীরব থেকেছে বিএসইসি। একাধিকবার প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও সামান্য কিছু জরিমানা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন হিরোকে। এসব ব্যাপার বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস হারিয়েছে। বিশ্বাস হারানোয় তারা মার্কেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার কারণেই মার্কেটের এই অবস্থা। নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে কাজ করতে হবে।