দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মাংকিপক্স সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। মাংকিপক্স ইস্যুতে সর্বোচ্চ সতকর্তা জারি করেছে সংস্থাটি। খবর বিবিসি ও সিএনবিসি'র

শনিবার (২৩ জুলাই) এই ইস্যুতে জরুরি বৈঠকে বসে সংস্থাটির নীতি নির্ধারকরা। সেখান থেকেই এই ঘোষণা এসেছে। কর্তৃপক্ষরা বলছেন, মাংপিক্সের সম্ভাব্য মহামারী ঠেকাতে বৈশ্বিকভাবে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

ডব্লিউওএইচও মাংকিপক্স প্রার্দুভাবটিকে পুরো দুনিয়ার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য হুমকি হিসেবে দেখছে। বিশ্বের ৭৫টির বেশি দেশে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত এই রোগে শনাক্ত হয়েছে বলে জানান ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস।

এই প্রাদুর্ভাবের ফলে এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে এই ধরনের আরও দুটি স্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা রয়েছে - করোনভাইরাস মহামারি এবং পোলিও নির্মূলের অব্যাহত প্রচেষ্টা। তবে সঠিক কৌশলের মাধ্যমে মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করা যেতে পারে বলে বিশ্বাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের।

উল্লেখ্য, মাংকিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। যা সাধারণত মৃদু হয়। বেশিরভাগ আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যান। ভাইরাসটি খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়ায় না এবং ব্যাপক হারে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুব কম।

এখন পর্যন্ত মাংকিপক্সে আক্রান্তদের নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতিও নেই। পরিসংখ্যান অনুসারে, স্মলপক্সের টিকা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে কাজ করে।