দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।তিনি বলেন, “এছাড়া রাজশাহীর পথের ১১টি ট্রেনে বাড়তি কোচ যুক্ত করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক ট্রেনে করে এসে সহজেই পরীক্ষা দিতে পারবেন এবং দুর্ভোগও কিছুটা কমবে।

 

২৫ জুলাই থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ জুলাই। এ সময়ে রাজশাহী শহরে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সমাগম হবে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এ সিন্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

অসীম জানান, ঢাকা-রাজশাহীর পথের সিল্কসিটি, পদ্মা, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি করে শোভন চেয়ারের কোচ লাগানো হবে। বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকবে অতিরিক্ত তিনটি শোভন চেয়ারের কোচ।

লালমণি এক্সপ্রেসে একটি এসি কোচ থাকবে, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে একটি শোভন আর একটি কেবিন যুক্ত করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এসে নাটোরে নামতে পারবেন।

তাছাড়া কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে একটি এসি চেয়ার কোচ যুক্ত করা হবে। বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসে একটি এসি ও একটি শোভন চেয়ারের কোচ লাগানো হবে। কপোতাক্ষ ও মধুমতি এক্সপ্রেসে একটি করে শোভন চেয়ারের কোচ থাকবে। টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনে দুটি শোভন চেয়ারের কোচ লাগানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আশরাফুল হক জানান, আগামী ২৫ জুলাই সি ইউনিট (বিজ্ঞান), ২৬ জুলাই এ ইউনিট (মানবিক) এবং ২৭ জুলাই বি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এই তিনদিনের পরীক্ষায় তিন ইউনিটে ২০২১-২২ সেশনে অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮ জন। এর মধ্যে এ ইউনিট থেকে ৬৭ হাজার ২৩৭ জন, বি ইউনিট থেকে ৩৮ হাজার ৬২১ জন এবং সি ইউনিটে ৭২ হাজার ৪১০ জন রয়েছেন।

তিনি বলেন, “এত শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাজশাহীতে বিপুল পরিমাণ অভিভাবকেরও আগমন ঘটে। তাই এই সময় শহরে চাপ পড়ে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী আসা এবং রাজশাহী থেকে ফেরার টিকিট নিয়ে এরই মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়ে গেছে। ঢাকায় শিক্ষার্থীরা রেলপথে বসে বিক্ষোভও করেছেন। বাসের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে না।

“এ অবস্থায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল ও ট্রেনে বাড়তি কোচ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

রাজশাহী বিভাগ
রাজশাহী জেলা