দুই ছেলের কবরের পাশে সমাহিত হবেন ফজলে রাব্বি মিয়া
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার নিজ গ্রাম গটিয়ায় দুই ছেলের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে ফজলে রাব্বি মিয়ার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বি মিয়া ও মেয়ে ফারজানা রাব্বি বুবলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সাতবারের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়া শুক্রবার বেলা ৪টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে মারা যান। ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
পেশায় আইনজীবী ফজলে রাব্বী মিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গাটিয়া গ্রামে।
জাতীয় সংসদের উপ-সচিব ও ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব মো. আব্দুর মালেক স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, ঢাকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সোমবার বেলা ১টা ৪০ মিনিটে ফজলে রাব্বি মিয়ার মরদেহ সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নেওয়া হবে।
সেখানে থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ বেলা ২টা ১০ মিনিটে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাখা হবে। সেখানে জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে ৫টায় গটিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ফজলে রাব্বী মিয়ার কফিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে।।
ফজলে রাব্বির মৃত্যুতে তার নিজ এলাকায় শোকের মাতম চলছে। সেখানে বেলা পৌনে ১১টায় ফজলে রাব্বীর জানাজা হয়। পরে সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে রাখা হয় তার কফিন।
এদিকে সাহসী ও বর্ষিয়ান এ নেতার মৃত্যুতে গাইবান্ধার আওয়ামীলীগ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসীর মধ্যেও শোকের মাতম বইছে।
১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ জেলা গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ফজলে রাব্বী মিয়া।
মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে রেখে গেছেন। ২০২০ সালে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মারা যান।