বন্দরে আরও ২ কনটেইনার মদ জব্দ
চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আনা দুই দফায় তিন কনটেইনার মদ জব্দের পর আরও দুই কনটেইনার মদ জব্দ হয়েছে। বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডে সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মদভর্তি কনটেইনার দুটি জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) এবং পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) টিম।
এআইআর বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণা দিয়ে এ বন্দরের মাধ্যমে আনা দুই কনটেইনার মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে জব্দ করা হয়।
র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এসব মদ জব্দ করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা।
কাস্টম কর্মকর্তা সাইফুল হক বলেন, রোববার জব্দ করা কনটেইনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৪৩০ কার্টন মদ পাওয়া যায়। এসব কার্টনে মোট ১৫ হাজার ২০৪ লিটার মদ রয়েছে, যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা প্রায়। উচ্চ শুল্কের এই পণ্যে মোট ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।
এরপর রোববার দুপুরে বন্দরে জব্দ করা হয় আরও একটি চালান। বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডে রোববার দুপুরে এসব মদ জব্দ করে এআইআর টিম।
এই কর্মকর্তা জানান, এই দুই কনটেইনারে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। এসব মদের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। উচ্চ শুল্কের পণ্য হওয়ায় এই চালানের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে।
এই মদ জব্দের পর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব জানায়, এর পেছনে রয়েছে একটি পারিবারিক সিন্ডিকেট। বাবা ও দুই ছেলের ওই সিন্ডিকেট ভুয়া গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের পণ্যের নামে দুবাই থেকে মদের এই বিশাল চালান দেশে আনার চেষ্টা করে।
ইতোমধ্যে এই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের মধ্যে সিন্ডিকেট পরিচালনাকারী দুই ছেলের একজন রয়েছেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/ ২৫ জুলাই, ২০২২)