ডাকাতির অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একটি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সোমবার দিবাগত রাতে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের পানির পাম্পের দক্ষিণ পাশে অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে ডিবি কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান।
মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী, মালামালবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের ওপর নজর রেখে তাঁদের পিছু নিতেন তাঁরা। নির্জন স্থানে গেলে নিজেদের পিকআপ দিয়ে ওই গাড়ির সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে পথ আটকাতেন। পরে বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যেতেন। এভাবে ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় ডাকাতি করা একটি দলের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলেন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ বলেন, ডাকাতি করতে গিয়ে মানুষ হত্যাও করেছেন এই দলের সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মহাসড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। মহাসড়কে গাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন স্বর্ণালংকারের দোকানে ডাকাতি করতেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই ডাকাত দলের প্রধান সুমন চৌকিদার। তাঁর বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
পোশাকশ্রমিক ও দিনমজুরদের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন দলে ভেড়াতেন বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন। তিনি বলেন, ‘স্বল্প আয়ের এসব মানুষকে সুমন বলতেন, সারা মাস কাজ করে যে টাকা পাও, মাসে যদি এক দিন আমার সঙ্গে ডাকাতি করো এর চেয়ে বেশি টাকা আয় করতে পারবে। এভাবে প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করতেন তিনি।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ বলেন, এই দলের সদস্যরা ডাকাতির সময় পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র (রামদা, চাপাতি) ব্যবহার করতেন। একটি সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে সেখানকার এক কর্মচারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সুমন।