দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বেশ কয়েকদিনের টানা দরপতনের প্রেক্ষাপটে আবার শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোরপ্রাইস চালু করা হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে; যা রোববার থেকে কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার এক আদেশে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আগের পাঁচ কার্যদিবসের শেয়ার দরের গড়কে ফ্লোরপ্রাইস হিসেবে গণনা করতে বলেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

একদিনে শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়ার এ আদেশের সঙ্গে দৈনিক দর কমার বিদ্যমান ২ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার তুলে দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ১৯ মার্চ করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশেরপুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে আপদকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমবারের মত শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় বিএসইসি।

এরপর বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হলে ১৫ মাস পর ২০২১ সালের ১৭ জুন এ নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছিল।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে আসার পর আমদানি বাড়তে থাকলে এবং ইউক্রেইন যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেলে দেশের আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এসময়ে আমদানির পরিমাণও বাড়লে ডলার সংকটও তীব্র হতে থাকে। এতে রিজার্ভ কমে দুই বছরের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে।

এমন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঈদের পর সরকার ডলার সাশ্রয়ে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যায়। অর্থনীতির সূচকগুলোর এমন নেতিবাচক খবরের প্রভাব দেখা যায় পুঁজিবাজারেও।

কয়েকদিন থেকে চলা দরপতনে টানা কমে দুই বাজারের সব সূচক। বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচক কমে ছয় হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমে যায়।

সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স ৫৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে পৌঁছেছে।

ডিএসইএক্স এর চেয়ে বাজে অবস্থায় ছিল সর্বশেষ ২০২১ সালের ৭ জুন, সেদিন সূচকে ছিল ৫ হাজার ৯৭৫ পয়েন্ট।

আর ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক সর্বশেষ ছয় হাজারের নিচে ছিল ওই বছরের ২৭ জুন, সেদিন সূচকে ছিল ৫ হাজার ৯৯২ পয়েন্ট।