দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা তার নয়।

সোমবার (১ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম একথা জানায়।

এর আগে রোববার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয় পার্থকে। সাংবাদিকরা তার কাছে জব্দ হওয়া টাকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। পার্থ এসময় বলেন, ‌আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়। '

প্রথমে ষড়যন্ত্র এবং এবার টাকা নিজের নয় বলে পার্থ যে দাবি করছেন, তা নিয়ে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।

রাজ্যটির বিরোধী দলীয় নেতারা বলছেন, পার্থের একার পক্ষে এতো বড় দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। পার্থ হয়তো কোনো একটি নির্দৃষ্ট দিকে ইঙ্গিত করার চেষ্টা করছেন।

এদিকে পশ্চিম বঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত পার্থের যদি কিছু বলার থাকে অবশ্যই সেটি তাকে আদালতে জানাতে হবে।

সংবাদ মাধ্যম জানায়, রোববার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইডির হেফাজত থেকে পার্থকে জোকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার সঙ্গে অর্পিতাও ছিলেন।

গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে হাসপাতালে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেন, ‘আমার কোনো টাকা নেই। শরীরটাও ভালো নেই। '

হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চলে যাওয়ার সময় টাকা কার সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার না, আমার না, আমার না। আমি টাকার লেনদেন করি না।’ কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই প্রশ্নেও পার্থ বলেছেন, ‘সময় এলেই জানতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে অর্পিতাও দাবি করেছিলেন, তার হেফাজত থেকে টাকা উদ্ধার হলেও ওই টাকা তার নিজের নয়। অর্পিতা এ দিন অবশ্য হাসপাতাল চত্বরে চুপ ছিলেন। আগের দিনের মতো কান্নাকাটি করতেও তাকে দেখা যায়নি।

তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‌‌পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে।'

তিনি আরো বলেন, ‌‘অভিযুক্ত হিসেবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কিছু বলার থাকলে আদালতের সামনে তা পেশ করার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। তার যা বক্তব্য তা তিনি আদালতকে জানাবেন। টাকা উদ্ধার হচ্ছে, অপার (অর্পিতা) ছবি, আঙুলের ছাপ, দলিল বের হচ্ছে, দুনিয়ার জিনিস বের হচ্ছে! উনি প্রথম দিন কেন কিছু বলেননি?’

বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অর্পিতা বলছেন, তার কোনো টাকা নেই। পার্থও বলছেন, তাঁর কোনো টাকা নেই। তাহলে টাকাটা কার? রাখল কে? কোথা থেকে এল? এত পরিমাণে টাকা এক দিনে নিশ্চয়ই আসেনি। পুরো পশ্চিমবঙ্গ থেকেই টাকা তোলা হয়েছে, আমরা এটা জানি। বিরাট নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে। এক-দু’জনের কাজ নয়। অনেক লোক এরসঙ্গে যুক্ত। উপর মহল যুক্ত রয়েছে। কখন সত্যিটা সামনে আসবে মানুষ সেই সত্যি জানার অপেক্ষায় রয়েছে। '

সূত্র: আনন্দবাজার