বিএনপির হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া যাবে না : নুর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গণঅধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেছেন, বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে আমাদের ঐক্য গড়তে হবে। এই ঐক্যে একটা নির্যাতিত দল হিসেবে বিএনপিকে সঙ্গে রাখতে পারি। কিন্তু তাদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনলন আয়োজিত 'ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রস্তাব' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,আমরা গত ৩৪ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলকেই ক্ষমতায় দেখেছি। আমরা দুই দলেরই চরিত্র দেখেছি। তাদের চরিত্র একই। এই দুইদল ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কিছুই হবে না। এজন্য তৃতীয় কোনো শক্তিকে আমাদের ক্ষমতায় নিতে হবে।
নূর বলেন, বিএনপিও ৯৬ সালে এককভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা জনগণের দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। তাদের খারাপ মতলব ছিল না। তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমান সরকার যিনি ক্ষমতায় আছেন, যিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, যাকে মানুষ সম্মান দেয়, কিন্তু তিনি যেভাবে জনগণ ও বিরোধীদলের প্রতি অসম্মান দেখিয়েছে, এতে আমরা লজ্জিত।
নূর আরও বলেন, যদি দেশে সংবিধান থাকতো, তাহলে ভোলায় একটি দলের নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের সমাবেশ এভাবে গুলি করে হত্যা করতে পারে না। মুস্তাককে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছে, পিন্টুকে হত্যা করা হয়েছে। আগস্টের পোস্টারে সারাদেশ ছেয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তারা বলছে কাঁদো বাঙালি কাঁদো। আমরা তাতে সমবেদনা জানাই। কিন্তু এই আগস্ট মাসের শুরুতেই যে তারা নিজেরাই অন্য একটা দলের কর্মীকে হত্যা করলেন।
বিএনপির ভুল আছে মন্তব্য করে নূর বলেন, আমরা তাদের সিদ্ধান্তে ভুল আছে মানলাম, তাই বলে তাদের গুলি করে হত্যা করতে হবে এটা তো সমর্থন করা যাবে না।
ঐক্যের ইঙ্গিত দিয়ে নূর বলেন, আজকে আমাদের গণ ঐক্য গড়তে হবে। যাদের সঙ্গে রাজপথে ঐক্য সম্ভব, তাদের সঙ্গে রাজপথে। যাদের সঙ্গে টেবিলে সম্ভব, তাদের সাথে টেবিলে।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে নূর বলেন, আপনারা এখনই সিদ্ধান্ত নিন। সময় আছে। যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেন, তবে আপনারা খেসারত দিবেন, যে খেসারত জনগণ গত ১৩ বছর ধরে দিচ্ছে। আপনারা এই যে ঋণগুলো নিচ্ছেন, এগুলো পরিশোধ কে করবে? আমরা চাই না আপনাদের পালানোর রাস্তা না থাকুক। আমরা চাই ভালো করেই নিরাপদে ক্ষমতা ছাড়ুন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হারুনুর রশিদ ও দলের নেতা বাচ্চু ভূঁইয়াসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।