বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন যাত্রীরা।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস ঢাকা যাওয়ার পথে বুধবার (৩ আগস্ট) মধ্য রাতে এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
ওই বাসের যাত্রী ছিলেন নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নাটোরের তরমুজ চত্বর থেকে বাসে উঠি। বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য বিরতি দেয়। তখন বাস থেকে নেমে অনেকেই হোটেলে খাবার খান। কড্ডার মোড়ে আসার পর ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী বাসে ওঠেন। তাদের প্রত্যেকেরই পিঠে ব্যাগ ছিল। বাসে উঠে তারা খালি সিটগুলোতে বসেন।
তিনি জানান, বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। অনেক যাত্রীই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দল ঘুমন্ত যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। প্রথমে তারা ছুরি ঠেকিয়ে ড্রাইভার, হেলপার ও সুপারভাইজারকে বাসের পেছনের দিকে নিয়ে সিটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। যাত্রীদের তারা ভীষণ নির্যাতনও করে। যাত্রীদেরও হাত, চোখ, মুখ বেঁধে ফেলা হয়। শিশুদেরও একই কায়দায় বেঁধে রাখে তারা। পরে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন, টাকা, গয়না লুট করে নেয়। তার পাশে বসা নারীকে ধর্ষণ করা হয়। হাত, মুখ, চোখ বাঁধা থাকায় অন্য যাত্রীরা কিছুই করতে পারেননি।
অপর যাত্রী দৌলতপুর থানার তারাগুনিয়া গ্রামের শিল্পী বেগম বলেন, ‘অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের সবাইরে হাত, মুখ, চোখ বাইন্দা ডাকাতরা সব লুট কইরা নিছে। আমার স্বামী পিয়ার আলীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করছে। আমার কাছ থিকা ৩০ হাজার টাকা নিয়া গেছে।’ বাসে থাকা অন্য নারী যাত্রীও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
বেসরকারি চাকরিজীবী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা আবদুর রশিদ নাটোর থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন অসুস্থ মাকে দেখার জন্য। তিনি বলেন, ‘বেতনের ২২ হাজার ৮০০ টাকা কাছে ছিল। ডাকাতরা সেই টাকা নিয়ে গেছে। দয়া কইরা ১০০ টাকা পকেটে রাইখা গেছে।'