বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৬৬
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বাসযোগ্য শহরের বার্ষিক তালিকায় এবারও একেবারে নিচের দিকে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। ইআইইউ গত বৃহস্পতিবার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেটি অনুযায়ী, ১৭২টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম।
কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে ‘দ্য গ্লোবাল লিভাবিলিটি ইনডেক্স ২০২২’ প্রকাশ করেছে ইআইইউ। এগুলো হলো স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা এবং অবকাঠামো।
ঢাকার নিচে রয়েছে পাপুয়া নিউগিনির পোর্ট মোর্সবি, পাকিস্তানের করাচি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, লিবিয়ার রাজধানী শহর ত্রিপোলি, নাইজেরিয়ার লাগোস এবং সবশেষে সিরিয়ার দামেস্ক, যার স্কোর ৩০ দশমিক ৭।
বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে এবার রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী শহর ভিয়েনা। ভিয়েনার স্কোর ৯৯ দশমিক ১। ৯৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ডেনমার্কের কোপেনহেগেন এবং ৯৬ দশমিক ৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ।
সূচকে ১৬৬ নম্বরে থাকা ঢাকার মোট পয়েন্ট ৩৯.১। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতায় ঢাকা পেয়েছে ৫৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে স্বাস্থ্যে ২৯.২, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৪০.৫, শিক্ষায় ৪১.৭ ও অবকাঠামোতে ২৬.৮ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী।
২০২১ সালে এ তালিকার ১৪০টি শহরের মধ্যে ১৩৭ নম্বরে ছিল ঢাকা।
এবারের তালিকায় বাসযোগ্য শহরের শীর্ষে থাকা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার পয়েন্ট ৯৯.১। শহরটি স্থিতিশীলতা ও স্বাস্থ্যসেবায় শতভাগ স্কোর পেয়েছে। সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৯৬.৩, শিক্ষা ও অবকাঠামোতেও ১০০ করে পয়েন্ট পেয়েছে।
ইআইইউ বলছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা দিতে শহরগুলো কতটা সক্ষম ছিল, সেটি জরিপে এবার অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
যখন এ বছরের জরিপ কাজ শুরু করে তার মাঝামাঝি সময় ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর ইআইইউ ইউক্রেনের শহর কিয়েভে শেষ পর্যন্ত আর জরিপ পরিচালনা করেনি। তবে রাশিয়ার মস্কো এবং পিটার্সবার্গে জরিপ পরিচালিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার রাশিয়ার শহর মস্কো ১৫ এবং সেন্ট পিটার্সবার্গ ১৩ ধাপ নিচে নেমে গেছে।