তিন টিটিই’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের তিন টিটিই’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ট্রেনটি কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে জংশনে আটকে রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিআরএম আবুল কালাম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত ট্রেনটি আটকে রাখা হয়। পরে রেল কর্তৃপক্ষ, লাকসাম উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের মধ্যস্থতায় দেড় ঘণ্টা পরে ট্রেনটি ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার জন্য সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে ওঠেন। এ সময় স্টেশনে এসে অনেকেই টিকেট পাননি। পরে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ায় তারা বিনা টিকেটে ট্রেনে উঠে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সোনার বাংলা ট্রেনের টিটিই আমিনুল ইসলাম টিকিট চেকিংয়ের সময় শিক্ষার্থী কাছে ৪০৫ টাকার ভাড়া ৮১০ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে টিটিই আমিনুলের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে দুই ছাত্রকে মারধরও করেন তিনি। পরে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ট্রেনটি লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনে থামিয়ে টিটিই ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে দেন। পরে এ ঘটনার জেরে শতাধিক শিক্ষার্থী ট্রেন থেকে নেমে রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এতে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় তারা টিটিই’র হাতে মারধর ও হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিচার দাবি করে স্লোগান দেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিআরএম আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার রাতের এ ঘটনায় টিটিই আমিনুল ইসলাম ও তার দুই সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।