দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দেশের মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য দিনরাত কাজ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যতক্ষণ নিঃশ্বাস আছে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।’

রোববার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বর্বরোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের অভাব, বিদ্যুতের অভাব, মুদ্রাস্ফীতি। আমরা তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। বিদ্যুতের ব্যবহার আমাদের সীমিত করতে হয়েছে। সার উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। গ্যাস উৎপাদন এবং সার্ভে অব্যাহত রেখেছি। আমরা সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। এক কোটি লোক রেশনের আওতায় আসছে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না দেশের মানুষ কষ্ট পাক বা খাদ্যে কষ্ট পাক। রাজনীতি করি তাদের জন্য। হয়তো আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন তাদের কল্যাণের কারণে। রাখে আল্লাহ মারে কে? দেশের এমন কোনো জায়গা নাই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। তারপরও ফিরে এসেছি মানুষের কল্যাণ করার জন্য।

যতক্ষণ নিঃশ্বাস আছে মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবার সহযোগিতা দরকার। সবাইকে কাজ করতে হবে। শুধু সমালোচনা করলে হবে না।

‘আমি সাধ্যমতো করে যাচ্ছি। কিন্তু তারা যা হারিয়েছে তাতো আমরা দিতে পারবো না। এই যে কষ্টগুলো নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে, এগুলো কেউ চিন্তা করে? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বারবার আঘাতের চেষ্টা করা হচ্ছে।”

২১ আগস্ট গ্রেনেট হামলার সময়ে কর্নেল রশিদ, জাহিদ বাংলাদেশে ছিলো উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যখন দেখছে যে আমি মরি নাই তখন তারা দেশ থেকে বেরিয়ে গেছে। তাহলে তাদের কে এনেছিলো। যদি সরকার থেকে সাহায্য না করে তাহলে তার আসলো আবার চলে গেলো কিভাবে? খালেদা জিয়া যেভাবেই হোক দেশ থেকে চলে যেতে সাহায্য করেছে।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যগুলো একটু অনুসরণ করেন। কোটালিপাড়ায় বোমা পুতে রেখেছিলো, তখন খালেদা জিয়া বলেছিলো, আওয়ামী লীগ একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আবার বলেছিলো শেখ হাসিনার ক্ষমতায় আসা তো দুরের কথা বিরোধীদলও হতে পারবে না। কারণ তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো আমাকে মেরে ফেলা।

তিনি বলেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ মেরেছে, এটাই তাদের উদ্দেশ্য। এখন তাদের সাথে কথা বলতে হবে। নির্বাচনে আনতে হবে। কেন? দেশে কি আর মানুষ নেই। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে তারা সেই সন্ত্রাসের সময়ে ফিরে যাবে নাকি উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে থাকবে।

এ সময় আবার ষড়যন্ত্র হতে পারে আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান যাতে না ঘটতে পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।