সহায়ক যখন মোবাইল
কাজী জামশেদ নাজিম, দিরিপোর্ট২৪ : ঘুটঘুটে অন্ধকার, চারদিকে দম বন্ধ ধোঁয়া। বিদ্যুৎ চলে গেছে অনেক আগেই। নারী-পুরুষ সবাই ভুলে যায় চিরচেনা সিঁড়িটি। মঙ্গলবার এমনই এক পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোন সেটের বাতিই হয়ে ওঠে মতিঝিল দিলকুশা সেন্টারের অগ্নিকাণ্ডে আটকে পড়াদের জীবন রক্ষার সহায়ক সরঞ্জাম। মোবাইল সেটের ওই মৃদু আলোতেই পথ দেখে একে একে বের হয়ে আসেন শত শত নারী-পুরুষ।
মতিঝিল দিলকুশা সেন্টারের ১৮ তলায় মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টায় আগুন লাগে। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়। অন্ধকারে আটকে পড়েন শত শত অফিস স্টাফ। তখন পর্যন্ত ওপর তলায় পৌঁছায়নি দমকলকর্মীদের বাতি।
১৬ তলা থেকে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসেন জুয়েল, আদনান ও বেলায়েত। একসঙ্গে তিনজন সঙ্গে থাকা মোবাইলের আলোতে পথ দেখে বের হয়ে আসেন।
বেলায়েত বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের ফ্লোর অন্ধকার হয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিরচেনা অফিসটি মৃত্যুগুহা মনে হচ্ছিল। নারী সহকর্মীদের চিৎকারে কান ভারী হয়ে আসছিল। কাউকে সহায়তা তো দূরে থাক নিজের ৫ বছরের সন্তানের কথা মনে পড়তেই নিজেও যেন বাচ্চা হয়ে গেলাম। এমন সময় আরেক সহকর্মী মোবাইলের টর্চ জ্বেলে ধরেন। এরপর সবাই ওই একটু আলোর ওপর ভর করেই নামতে লাগলাম।
(দিরিপোর্ট২৪/কেজেএ/এএস/জেএম/নভেম্বর ১২, ২০১৩)