তারিক আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছে পরিচালনা পর্ষদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়ার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছে পরিচালনা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার(২৫ আগষ্ট) অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল তারিক আমিন ভূঁইয়া ডিএসইর চেয়ারম্যানের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। একদিন পরই ডিএসইর পর্ষদ তার পদত্যাগ গ্রহণ করলো।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইউনূসুর রহমান বলেন, তারিক আমিন ভুঁইয়ার পদত্যাগ পত্র পরিচালনা পর্ষদ গ্রহন করেছে। আগামী দুই সপ্তাহ পর ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান মজুমদার দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, এমডি ও পরিচালনা পর্ষদের দূরত্বে দেশের বৃহত্তম শেয়ারবাজার ডিএসইতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানে পছন্দের কর্মকর্তাদের গণপদোন্নতি দেওয়া হলে জরুরি বৈঠক করে সোমবার তা আটকে দেয় পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু পর্ষদের সিদ্ধান্তকে পাত্তা না দিয়ে মঙ্গলবার সকালে পদোন্নতির ঘোষণা দেন তারিক আমিন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএসই। বর্তমানে এখানে তিন শতাধিক কোম্পানি তালিকাভুক্ত। ফলে এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের সংকট তৈরি হলে পুরো বাজারে এর প্রভাব পড়বে।
জানা গেছে, এ নিয়ে পরপর ৫ জন এমডি পদত্যাগ করলেন। এর আগে পর্ষদের আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর পদত্যাগ করেন কাজী ছানাউল হক। এর ২০১২ সালের ২৮ মে পদত্যাগ করেন তৎকালীন ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোশাররফ হোসেন।
তবে বাজারে খারাপ সংবাদ যাবে এই বিবেচনায় ওই সময়ে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়। এছাড়াও শেয়ারবাজার নিয়ে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্টে সহায়তা করায় ২০১১ সালে তৎকালীন সিইও সতীপতি মৈত্রকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এর নিয়োগের ৫ মাসের ব্যবধানে ২০০৯ সালে তৎকালীন সিইও শরীফুল ইসলামকেও পদত্যাগ করতে হয়।
জানা গেছে, ডিএসইর ৯৫ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য সোমবার চিঠি ইস্যু করা হয়। এরমধ্যে ডিজিএম থেকে সিনিয়র জিএম পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু নিয়ম অনুসারে জিএম এবং এর ওপরে পদোন্নতির জন্য এনআরসির (নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি) অনুমোদন লাগে। এই অনুমোদন না থাকায় সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত পর্ষদের সভায় জিএম ও সিনিয়র জিএমদের পদোন্নতি বাতিল করতে বলা হয়। কিন্তু তা বাতিল না করে মঙ্গলবার সকালেই জিএম পদোন্নতির ঘোষণা দেওয়া হয়। বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি পর্ষদ।