দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেবে ইসি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:আগামী (দ্বাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেবে ইসি। এজন্য সরকারে কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এতথ্য জানান তিনি।
তবে সেনাদের কোনো বিচারক ক্ষমতা দিতে চায় না কমিশন। স্ট্যান্ডিং ফোর্স বা টহল বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে টেকনিক্যাল সহাকারী হিসেবে তারা থাকবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেব, সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত আছে। সরকারকে প্রস্তাব দেবো সেনাবাহিনীর সহায়তা দেয়ার জন্য।’
সরকার সেনাবাহিনী দেবে কি না- এমন প্রশ্নে আলমগীর ফৌজদারী কার্যবিধি বা সিআরপিসি ও নির্বাচন কমিশনের আইনের প্রসঙ্গ টেনে আলমগীর বলেন, ‘সরকারে যে কোনো সংস্থার আমরা সহযোগিতা চাইতে পারি। কাজেই সেনাবাহিনীর যদি সহায়তা চাই, তারা সেই সহায়তা দিতে বাধ্য।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে করতে হবে। মেয়াদ শেষ হবে ৩০ তারিখে (২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি) মধ্যে। সুতরাং এর আগে ৩০ দিনের মধ্যে করলেই হবে।’
ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত হলেও কতগুলো আসনে এই মেশিন ব্যবহার হবে-সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০ টা। পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে আমরা ১৫০ আসনেই করতে পারব, তাহলে ১৫০ আসনেই করব। যদি আমাদের প্রকিউরমেন্ট করা সম্ভব না হয় (নতুন মেশিন কেনা না গেলে) তাহলে ৭০/৮০ আসনেই হতে পারে। যদি মেশিন যদি আরও নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ৫০ টায় হতে পারে।’
১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করতে আরও দেড় থেকে দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে বলে জানান এই কমিশনার।