দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মহামারি করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা একের পর এক সংকটে বেসামাল দেশের চালের বাজার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুল্ক কমিয়ে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চালের দামে আবগারি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। 

রোববার (২৮ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারি করা এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুগন্ধি ছাড়া অন্যান্য চাল আমদানির ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে। এই সিদ্ধান্ত আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে, রেয়াতি হারে চাল আমদানির পূর্বে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

রোববার বিকেলে নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ওএমএস ও খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি সার ডিলারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য বান্ধব ও ওএমএস কার্যক্রম সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে জেলা, উপজেলা ও পৌর এলাকায় শুরু হবে। খাদ্য-বান্ধব ও ওএমএসের চাল বিতরণে যেন কোনো অনিয়ম না হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। বিরূপ আবহাওয়া হলে আমনের উৎপাদন কম হতে পারে, সে জন্য আমরা সতর্কতা হিসেবে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছি।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেসরকারি চাল আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স কমিয়েছি। তবে আজই হয়তো গেজেট জারি হবে। এ ছাড়া আমাদের খাদ্য মজুতও পর্যাপ্ত রয়েছে।’