দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গত ২২ আগস্ট থেকে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় হামলা, দলীয় কার্যালয় ভাঙ্চুর এবং লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো: মোর্শেদ হাসান খান মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট ২০২২) এক বিবৃতিতে বলেন, এপর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৃশংস ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। যা কাপুরুষোচিত কাজ ছাড়া কিছুই নয়। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অনেক নেতাকর্মীকে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত এসব বর্বরোচিত ঘটনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও তাদের ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা বিনা উস্কানিতে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এবং পুলিশ-প্রশাসনকে ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। নেতৃদ্বয় পুলিশ-প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভুমিকা বজায় রাখার আহ্বান জানান।

আমরা শিক্ষক সমাজ মনে করি বিএনপির কর্মসূচীতে ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা এবং দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা কোনো ভালো পরিণতি বয়ে আনবে না। এসব ঘটনা শুধু বিভেদই তৈরি করবে। কিন্তু বাংলাদেশে অতীতে শান্তি-সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল। বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর লক্ষ্মীপুরের বাড়িতে এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের যশোর সদরের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং বেআইনী।

নেতৃদ্বয় বলেন, আওয়ামী লীগ দিনের ভোট রাতের বেলায় ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দলীয় সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। তারা সভ্যতা-ভব্যতা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করেনা। অথচ নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে দাবি করে। আসলে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। তারা লুটপাট, মারামারি, ভোট ডাকাতি আর অন্যায়-অনিয়ম ও দুর্নীতিতেই বিশ্বাসী। যা তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হয়। নেতৃদ্বয় বিএনপির কর্মসূচীতে হামলা, দলীয় কার্যালয় ভাঙ্চুর এবং নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আটককৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।