বাংলাদেশের আফগান পরীক্ষা আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৫৯ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয়ে আকাশে উড়ছে আফগানিস্তান। যেভাবে তারা লঙ্কানদের বিধ্বস্ত করেছে, বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা দুশ্চিন্তা আর অস্বস্তির হাওয়া বয়ে যাওয়ারই কথা।
তবে এবার এশিয়া কাপে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে নতুন এক দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসি বাংলাদেশ। আজ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় মুখোমুখি হবে দুই দল।
পরিসংখ্যানের বিচারে এগিয়ে আছে আফগানিস্তানই। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ কিংবা অন্য কোনও দল; সব হিসেবেই এগিয়ে আফগানরাই। মুখোমুখি ৮ লড়াইয়ে ৫টিই জিতেছে আফগানরা, টাইগারদের জয় ৩টিতে। সর্বশেষ দ্বিপাক্ষীয় সিরিজটি শেষ হয় ১-১ সমতায়।
ভিন্ন ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ হিসেবে আনলেও আফগানিস্তানই এগিয়ে। তারা ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৩টিতেই জিতেছে, বাংলাদেশ নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে জিতেছে মাত্র একটি।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারার পর বাংলাদেশকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে সহজ প্রতিপক্ষ। বাংলাদেশ দলে দুজন ছাড়া বিশ্বমানের বোলার নেই।
তবে বাংলাদেশ নিয়ে রশিদ খানের ধারণা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সংবাদ সম্মেলনে রশিদ বলেন, ‘প্রতিপক্ষ দুর্বল না শক্তিশালী, এসব নিয়ে ভাবি না আমরা। ক্রিকেটে আপনি এটা বলতে পারবেন না। আর বাংলাদেশ কেমন দল তা আমরা জানি। তারা যে কোনো সময় মোড় ঘুরিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে। ’
প্রতিপক্ষ নিয়ে নয়, নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েই ভাবতে চান আফগান ক্রিকেটের সুপারস্টার। রশিদ বলেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে আপনি কেবল ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারেন। আমরা শুধু এটাই করতে পারি। আমরা এভাবে ভাবি না। আগামীকাল যদি হংকংয়ের বিপক্ষে খেলতাম তাহলে আমরা একই প্রস্তুতি নিতাম। ভারতের বিপক্ষে খেললেও আমরা একই প্রস্তুতি নিতাম। আপনি যদি প্রস্তুতির বিবেচনায় কথা বলেন তাহলে দল এবং ক্রিকেটারের প্রস্তুতি সবসময় একই থাকবে। ’
এশিয়া কাপ শুরুর ঠিক আগে বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন, টি-টোয়েন্টি দলে সাকিবের অধিনায়ক হয়ে ফেরা।
রশিদ খান সাকিবকে সমীহ করেই কথা বললেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। রশিদ বলেন, ‘দেখুন, আগামীকালকের (আজ) কন্ডিশনটা ভিন্ন হবে। শারজাহর কন্ডিশনটা একটু ভিন্ন। সাকিব এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এটা অবশ্যই তাদের সহায়তা করবে। তার মতো একজন অভিজ্ঞ কেউ দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মানে অনেকটা পার্থক্য গড়ে দেবে। ’
বাংলাদেশের এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি দলটি বেশ শক্তিশালী। সাকিব এসেছেন নেতৃত্বে। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ সেনানী থাকছেন তার সঙ্গে। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ফেরা লোয়ার অর্ডারে স্থিতি ফিরিয়েছে।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন হার্ডহিটিং ব্যাটার সাব্বির রহমান। লিটন দাস আর নুরুল হাসান চোটের কারণে নেই। তবে শেষ মুহূর্তে ওপেনার নাইম শেখকে যুক্ত করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে তাই বাংলাদেশ দল মোটামুটি ভারসাম্যপূর্ণই এখন। এই দল নিয়ে আশায় বুক বাধাই যায়। সকলেরই প্রত্যাশা আজ ভালো কিছুই উপহার দিবেন সাকিব বাহিনী।