ডেসটিনির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আলোচিত ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে হাই কোর্ট। নবগঠিত পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে।
নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন সাবেক জেলা জজ হাসান শহীদ ফেরদৌস, আইনজীবী মারগুব কবির, ফখরুদ্দিন আহমেদ ও ব্যবসায়ী ইকবাল জামান।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাই কোর্ট বেঞ্চ পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের এই আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন পর্ষদকে কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার অনুমতিও দিয়েছে।
কোম্পানির ১৬ অংশীদারের আবেদনে এই আদেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিকারী আইনজীবী মইনুল ইসলাম বলেন, “আগের বোর্ডের নয়জনকে রেখে ১৭ সদস্যের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।”
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে দণ্ডিত ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের আইনজীবী উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক জানান, কোম্পানির অংশীদারদের যারা আসামি নন, তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে নতুন পরিচালনা বোর্ডে রাখা হয়েছে।
মইনুল জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে ২০১২ সালের পর থেকে কোম্পানিটির এজিএম আর হয়নি। কোম্পানি আইন-১৯৯৪ এর ৮১ ও ৮৫ ধারা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একবার এজিএম না হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে এজিএম করতে হয়। যে কারণে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ১৬ অংশীদার গত ৩১ মে হাই কোর্টে আবেদন করেন।
এর আগে এজিএম আয়োজনে দেরি মার্জনা এবং তা করার অনুমতি চেয়ে ২০১৮ সালে আবেদন করেন কোম্পানিটির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ ও কোম্পানির পাঁচ অংশীদার। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট ওই বছরের ১৫ মে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়।
গ্রাহকদের প্রতারিত করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মুখে থাকা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড অবলুপ্ত বা অবসায়ন করতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, নোটিসে তাও জানতে চায় আদালত।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস অ্যান্ড ফার্মস এবং ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়। পরে হাই কোর্টের এ আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত হয়ে যায়।
২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিবন্ধন পাওয়া ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের মোট অংশীদার ৪৯ জন।
দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড ২০১২ সাল থেকে কার্যত বন্ধ।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির প্রায় ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১০ বছর আগে মামলা করেছিল দুদক।
মামলায় ৪৬ আসামিদের সবাইকে দোষি সাব্যস্ত করে গত ১২ মে রায় দেয় ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
রায়ে ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। দ্য রিপোর্ট/ টিআইএম/