দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু হরতাল মানতে কাউকে বাধ্য করা কখনোই গণতান্ত্রিক কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ছোট মিলনায়তনে ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরামের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিরোধী দলের নৈরাজ্য ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বিরোধীদল হরতাল ডেকে নিজেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে থেকে, হরতালকে নিয়ে আউটসোর্সিং করে। তারা হরতালকে ইভেন্ট ম্যানেজারের হাতে তুলে দেয়। আর তাদের এই ইভেন্ট ম্যানেজাররা হচ্ছে ছিঁচকে চোর। তা ছাড়াও এখন পিকেটিংয়ের নামে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে তারা ডাকাতদেরও নিয়োগ দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা পেছনের দরজা দিয়ে বাংলার রাজনীতিতে প্রবেশ করেছে তারাই বেগম জিয়ার নেতৃত্বে নাশকতা সৃষ্টি করছে।’

আলোচনা সভায় আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘাত এবং সংলাপ যদি একসঙ্গে হতে পারে, তবে এর পাশাপাশি গ্রেফতারও হতে পারে। তা ছাড়া নাশকতা বন্ধের জন্যই বিএনপির নেতাদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের পদত্যাগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা কেউ পদত্যাগ করিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেবলমাত্র পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। সঠিক সময় হলেই আমরা পদত্যাগ করব।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। এখন যদি কেউ নির্বাচনে অংশ না নেয় তবে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করব। আর এই নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব তার প্রমাণ শেখ হাসিনা দিয়েছেন।’

তিনি নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করবেন না। দুই দলকে খুশি করার মতো কথা বলবেন না, আপনাদের এটা মানায় না। যেটা সত্য সেটাই বলুন। কেননা আপনারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, কথা বলেন।’

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম কে এম রানা চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন আহমদ হোসেন, আকরাম হোসেন হুমায়ূন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

(দিরির্পোট২৪/এমএম/আইজেকে/জেএম/নভেম্বর ১২, ২০১৩)