দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন , ‘পঁচাত্তরের পর সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই জিয়াউর রহমান যুবসমাজের হাতে অস্ত্র, মাদক তুলে দিয়ে তাদের বিপথে পরিচালিত করেছিলেন। তিনি যুবসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ১১ জন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় বিশ্বাস করতেন যুব শক্তিই পারে সমাজে পরিবর্তন আনতে। তবে ৭৫ পরবর্তীতে যুবদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয় ক্ষমতালোভীরা।

২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুবকদের বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে তরুণদের।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে সরকার।

আগামীতে যুবকরা দেশ ও সমাজ উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় বিশ্বাস করতেন যুব শক্তিই পারে সমাজে পরিবর্তন আনতে। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের পর যুব সমাজকে বিপথগামী গড়ে তুলে জিয়াউর রহমান। পরে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে যুবকদের বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দেয়া হয়, বিশেষ করে কম্পিউটার শিক্ষায় জোর দেয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে প্রবাসী যুবকরা বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারবে, সে ব্যবস্থা করেছি। প্রযুক্তি ও কম্পিউটার শেখার জন্য আমরা আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছি, যাতে যুবকরা ট্রেনিং নিয়ে এই সেক্টরে দক্ষ হয়। দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, সেখানেও কর্মসংস্থান হচ্ছে। কোনো যুবকই বেকার থাকবে না।

করোনা মহামারীর সময় যুব সমাজ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

সকালে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ১১ জনের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা এবং সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।