দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : গত ২০০৬ সালে মিশরের রাজধানী কায়রো সফরের সময় আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যে রাজা তৃতীয় চার্লস। সেখানে তিনি ২০০৫ সালে ডেনিশ পত্রিকায় ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর ব্যঙ্গ কার্টুন আঁকার সমালোচনা করেছিলেন এবং সবাইকে আহ্বান জানিয়েছিলেন, অন্যের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে।

এদিকে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০ লাখ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর বাস। দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া দেশটির রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতেও মুসলিমরা বসবাস করে। তাই ইসলামের বিষয়ে নতুন রাজা প্রিন্স চার্লসের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে আগ্রহী মুসলিমরা।

যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস, রাজার দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি চার্চ অফ ইংল্যান্ডেরও প্রধান, অর্থাৎ খ্রিষ্টধর্মের অনুসারীদের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক তিনি। এখন ৩০ লাখ মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস ইসলাম নিয়ে তার ভূমিকার বিষয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন সেখানকার মুসলিমরা।

যদিও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মুসলিমদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যাপক সময় কাটিয়েছেন।

ইসলামের বিষয়ে রাজা তৃতীয় চার্লসের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে ক্যামব্রিজ সেন্ট্রাল মসজিদ বলছে, রাজা পবিত্র কোরআন বোঝার জন্য আরবি ভাষা শিখেছেন।

যুক্তরাজ্যের মুসলিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল জারা মোহাম্মদ জানিয়েছেন, রাজা তৃতীয় চার্লসই প্রথম রাজপরিবারের কেউ, যিনি মসজিদ পরিদর্শন করেছিলেন।

জারা মোহাম্মদ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিলের আমরা মনে করি রানি জনসেবায় তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং সব জাতির ঐক্য চেয়েছিলেন। নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসের অধীনে তা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।‘

রাজা সিংহাসনে বসার আগে থেকেই রাজা তৃতীয় চার্লস একজন আন্তধর্মীয় সংলাপের প্রবক্তা। ১৯৯৩ সালের এক বক্তৃতায় তিনি বলেছিলেন যে তিনি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেন যে খ্রিষ্টান ও ইসলামিক বিশ্বের মধ্যে সংযোগগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আন্তনির্ভরতা বাড়তে থাকা বিশ্বে দুজনের একসঙ্গে বসবাস ও কাজ করা প্রয়োজন।

রাজা তৃতীয় চার্লস যুবরাজ থাকা অবস্থায় প্রতিবছরই মুসলমানদের ঈদের উৎসবকে স্বাগত জানিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজের একজন পৃষ্ঠপোষক।