একদিনে ডলারের দাম বাড়লো ১০ টাকা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডলার সংকট কাটাতে ধারাবাহিকভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। এক দিনের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা ১৫ পয়সা। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আন্তঃব্যাংকে ডলার কেনাবেচা হয়েছে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সায়। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ৯৬ টাকা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক দিনের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ১০ টাকা ১৫ পয়সা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংকে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর আগের দিন ব্যাংকগুলোর কাছে ৯৬ টাকা দরে ৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হবে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা। নিয়ম অনুযায়ী, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
এদিকে, গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় ব্যাংকগুলোর মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা ও অতিরিক্ত মুনাফা রোধ করতে ডলারের এক রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন রেট অনুযায়ী, প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোতে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ রেট ১০৮ টাকা। বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিলের ক্ষেত্রে রেট নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯৯ টাকা। এছাড়া, আমদানির এলসি নিষ্পত্তিতে ডলার প্রতি সর্বোচ্চ ১০৪.৫০ টাকা। তবে, রেট কিছু দিন পরপর পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছেন এবিবি ও বাফেদার নেতারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই রেট পর্যবেক্ষণ করবে এবং নিয়মিত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে তথ্য উপাত্ত বিনিময় করবে। আর ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের এক রেট নির্ধারণের পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাড়ল আন্তঃব্যাংক ডলারের দাম।
ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়। তা এখনও অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ওই বছর ৩ আগস্ট থেকে দু-এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়। আর এক বছর পর পরপর দুই দিন বেড়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ১৫ পয়সা।