ডলারের বিকল্প ভাবছে সরকার-বাণিজ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘ডলারের পাশাপাশি ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) ব্যবহার নিয়ে আলোচনা চলছে। আমাদের মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে কাজ করছে।’
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্রেস ক্লাবে ওভারসিজ করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ওকাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
এসময়ডলারের দামের ক্ষেত্রে বাজারে যে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে, তাতে দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত। তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ওকাবের আহ্বায়ক কাদির কল্লোলের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব নজরুল ইসলামের পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী সমসাময়িক পরিস্থিতি, বাংলাদেশের বাণিজ্য, নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
দোকানে জিনিসপত্র বিক্রির ক্ষেত্রে দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দুই সপ্তাহ আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বেঁধে দিতে পারি।এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু বাকি সাতটি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার দায়িত্ব কৃষি মন্ত্রণালয়ের। দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা আসতে হবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গত ৩০ আগস্ট চাল, গম, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, চিনি, মসুর ডাল, রড ও সিমেন্ট- এই ৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে সেটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত জানান। সে হিসাবে গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) সময় পেরিয়ে যায়। এরমধ্যে তিনি আরও ৭ দিন সময় চেয়েছিলেন।
এখন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি বলেন, এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হবে।
ট্রানজিট সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী জানান, নেপাল ও ভুটানে ট্রানজিট দিতে সম্মত হয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি ভারত সফরে এ সম্মতি আসে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সাতটি চুক্তি হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতে আগামী কয়েক বছরে পোশাক রপ্তানি ১ বিলিয়ন থেকে ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।