মিয়ানমারের উসকানিতে বাংলাদেশ পা দেবে না- ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মিয়ানমারের উসকানিতে বাংলাদেশ পা দেবে না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম জানিয়েছেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করে মিয়ানমার ফায়দা লুটতে চায় বলে’।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদেরকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এদিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে, কানাডা ও জাপানসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাস প্রধানদের মিয়ানমারের সাম্প্রতিক আচরণ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রিফ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
খুরশেদ আলম বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মিয়ানমারকে আগে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পরে আসিয়ানকে বলা হয়েছে। আজকে রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। মিয়ানমার অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে যেন কোনো ফায়দা লুটতে না পারে, সেজন্য রাষ্ট্রদূতদের তা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ধৈর্য নিয়ে মোকাবিলা করছে, তাতে রাষ্ট্রদূতরা প্রশংসা করেছে।
সব পর্যায়ে বাংলাদেশ যোগাযোগ করছে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আজকে যারা এসেছিল তাদেরকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। চরম ধৈর্য দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের কোনো উসকানিতে পা দিচ্ছে না বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তারা। সর্বস্তরে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে এক রোহিঙ্গা কিশোর আহত হয়। পরে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকাস্থ মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায়।
এদিকে, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরাকান বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলাগুলি চলছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত মর্টার শেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ছে।
এর আগে গত ২০, ২৮ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বাংলাদেশে এসে পড়ে। সে কারণে গত ২১, ২৯ আগস্ট ও ৪ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। এ ঘটনায় প্রায় এক মাসের ব্যবধানে এ নিয়ে চারবার সীমান্তের ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হলো।