এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম বৃহস্পতিবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্যার কারণে এক দফা পিছিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে এতদিন পর বোর্ড পরীক্ষা শুরু হলেও প্রশ্নফাঁস ও ভুল প্রশ্ন দেওয়ার কারণে পরীক্ষা আবারও পেছানোতে মানসিক চাপে আছে দিনাজপুর ও যশোর বোর্ডের ৪ লাখ পরীক্ষার্থী। বারবার রুটিন পরিবর্তনের কারণে বিব্রত শিক্ষা বোর্ডও।
প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় এখন পর্যন্ত কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিবসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বোর্ডের যথাযথ নজরদারির অভাবেই প্রশ্নফাঁস হয়েছে।
গ্রেপ্তার ছয়জনের মধ্যে বুধবার রাতে একই বিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলার শিক্ষক সোহেল চৌধুরী ও পিয়ন সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজির শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং ইসলাম শিক্ষার শিক্ষক জোবাইর হোসেন।
কুড়িগ্রামে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বুধবার দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চারটি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে। প্রশ্নফাঁসে খোদ কেন্দ্রসচিবই জড়িত। টাকার বিনিময়ে তারা শিক্ষার্থীদেরকে প্রশ্ন দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর আগে স্থগিত করা হয়েছে গণিত (আবশ্যিক, পদার্থবিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়) ও রসায়ন (তত্ত্বীয়)। এই ছয়টি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নতুন করে ছাপানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম। তার স্বাক্ষর করা বোর্ডের অধীনে আট জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাতিল করা প্রশ্নগুলো ট্রেজারি অফিসগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে আলাদা করে আলাদা ট্রাংকে সংরক্ষণ করতে হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশংকৈল উপজেলায় একজনের পরীক্ষা আরেকজন দিতে গেলে ধরা পড়ার পর ৭ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, প্রশ্নফাঁসে শিক্ষকের জড়িত থাকা লজ্জার। সংশ্লিষ্ট বোর্ড এবং প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই এ ঘটনা ঘটছে। তাই সামনের পরীক্ষাগুলোতে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান তাদের।