করোনার বিশেষ ক্যাম্পেইন চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে রাজধানীসহ সারাদেশে আবারও টিকার বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। কর্মসূচি চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এদিকে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন চার কোটি ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩২ জন।
আর দেশে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৩ কোটি ১২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৬৮ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪০৯ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৩ অক্টোবরের পর আর প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে না। এই ক্যাম্পেইনে প্রথম জোড না পাওয়া ৩৩ লাখ ও দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া ৯০ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চায় সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, আগামী ৩ অক্টোবরের পর আর প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে না। তাই যারা এখন পর্যন্ত প্রথমে ডোজের টিকা নেয়নি তাদেরকে টিকার আওতায় আনতে বিশেষ এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সারা দেশে আগে থেকে যেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল, সেগুলোতে টিকাদান অব্যাহত থাকবে। যেমন প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিতে হবে। অন্যথায় পরে আর প্রথম ডোজ নেওয়া যাবে না।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী করোনা টিকার বিশেষ ক্যাম্প শুরু হবে। এরপর থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ অনেক ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে, অনেক ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ। ফলে অক্টোবরের পর আমাদের কাছে হয়তো প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভ্যাকসিন থাকবে না। তাই অক্টোবরের পর টিকা নাও পেতে পারেন। এ সময় মন্ত্রী আরও জানান, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের কোভিড টিকাদান কার্যক্রম।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা টিকার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপর থেকে টিকাদান অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়াও গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গণটিকা ক্যাম্পেইন শুরু করেছিল সরকার। ওই সময় দেশব্যাপী একযোগে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।